ধর্ষণের পরিণতি সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল। তারা ধর্ষক। জানে, যেকোনভাবেই হোক পরিণতি ভোগ করতেই হবে। কিন্তু তাতে মোটেই বিচলিত নয়। বরং এ ঘটনার পর পরিনতির কথা জানিয়ে একটি ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে ধর্ষকরা নিজেরাই। বলছে, আমরা আগামীকাল জেলে থাকতে পারি। অথবা বাড়ির আশেপাশেও যেতে পারবো না। জন্মদিনের উৎসবে এক কিশোরীকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর পরিকল্পিতভাবে গণধর্ষণ করে ৪ যুবক।
পরে ফেসবুক লাইভে এসে উল্লাস করে।
ভিডিওতে দেখা যায়- তারা বলছে, ‘হ্যালো ফ্রেন্ডস্, আমরা আগামীকালকা হয়তো জেলে থাকতে পারি। না হয় বাড়ির আশেপাশে থাকতে পারব না। আর আমাদের মনে হয় আমি আর শরীফ দুইজনের থিকা একজন বিয়া করতে….’
গত ১৫ই জানুয়ারি এক কিশোরীকে গণধর্ষণের পর ৪ ধর্ষক উল্লাস করে এ ভিডিওটি ফেসবুকে আডলোড করে। শুক্রবার রাতে ওই ৪ ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর থানার নৈয়পুরা গ্রামের সোহরাব উদ্দিনের ছেলে গণধর্ষণ কা-ের মূল হোতা শরীফ হোসেন (১৮), ধর্ষণের পরিকল্পনাকারী ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানার গোলাভিটা গ্রামের মো. জসিম উদ্দিনের ছেলে আহসান ওরফে হাসান (১৬), সহযোগী ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার উজান চন্দ্রপাড়া গ্রামের লিটন মিয়ার ছেলে ইমরান হাসান সুজন (১৯) ও গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুর গ্রামের সাবাজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে শরিফ উদ্দিন মোল্লা (২০)। তারা পরিবারের সঙ্গে নয়নপুর এলাকায় ভাড়া থাকতেন।
ইমরান হাসান সুজন তার মোবাইল ফোনে ওই ধর্ষণের ভিডিও ধারণ এবং তার ফেসবুক আইডিতে আপলোড করে। ধর্ষণের পর ৪ বন্ধু একটি সেলুনে গিয়ে উল্লাস করে এবং ‘হ্যালো ফ্রেন্ডস- জেলে থাকতে পারি’ এসব বলে আরও একটি ভিডিও করে সেটিও ফেসবুকে আপলোড করে।