বাংলাদেশ বার্লিনভিত্তিক দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) জানিয়েছে ২০১৯ সালে দুর্নীতির ধারণা সূচকে তিন ধাপ এগিয়েছে । আর দুর্নীতির সর্বনিম্ন দিক থেকে এক ধাপ এগিয়েছে দেশটি। তবে সূচকের স্কেলে কোনো পরিবর্তন হয়নি।
১০০ মানদণ্ডে এবার (২০১৯) বাংলাদেশের স্কোর ২৬। ২০১৮ সালেও স্কোর ছিল ২৬।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
টিআই প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে দুর্নীতির ধারণা সূচক প্রকাশ করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় সিপিআই-২০১৯ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালে বাংলাদেশ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে তালিকার সর্বনিম্ন থেকে গণনা ও স্কোর অনুযায়ী ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৪তম অবস্থানে রয়েছে। যা সিপিআই ২০১৮ থেকে এগিয়েছে। এছাড়া, সর্বোচ্চ থেকে গণনা অনুযায়ী বাংলাদেশ ১৪৬তম অবস্থানে। এখানে গত বছরের তুলনায় তিন ধাপ উন্নতি হয়েছে।
এশিয়া প্যাসিফিকের ৩১ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ চতুর্থ সর্বনিম্ন অবস্থানে এবং দক্ষিণ এশিয়ার আট দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। এশিয়ায় নিচের দিক থেকে আফগানিস্তান এক নম্বরে।
সংবাদ সম্মেলনে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘গত বছর দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের সময় মানুষের মধ্যে একটি প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এটা কতটা বাস্তবায়ন হবে তা নিয়ে শঙ্কা রয়েই গেছে।’
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির ভালো স্কোর করার মতো আইনি ও কাঠামোগত সক্ষমতা আছে। কিন্তু প্রয়োগের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতার জন্যই স্কোরে এগোতে পারছে না বাংলাদেশ। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি করেছে। দুর্নীতি থাকার ফলে এর সুফল মানুষ ঠিকমতো পাচ্ছে না।’
টিআইবির চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো করছে। কিন্তু এর সুফল ভালোভাবে দিতে পারছি কি না, সেটাই বড় প্রশ্ন। দুর্নীতি না থাকলে আরও উন্নতি হতো।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন টিআইবির উপদেষ্টা (নির্বাহী ব্যবস্থাপনা) সুমাইয়া খায়ের , পরিচালক (আউটরিচ কমিউনিকেশন) শেখ মঞ্জুর ই আলম প্রমুখ।