ঢাকা ১৮ জুন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই ঘোষণা করেছে। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্প একটি বাড়ি একটি খামার- অর্থহীনে অর্থ ও কর্মহীনে কর্ম সৃজন এবং আশ্রয়ণ প্রকল্পের বিপন্নে আশ্রয় ও গৃহহীনে গৃহ প্রদান কাজে সংশ্লিষ্ট সবাইকে মনপ্রাণ দিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেছেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য আমাদের মন-প্রাণ দিয়ে কাজ করতে হবে।
আজ শনিবার ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের নবনির্মিত একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠান ভূমিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী শরীফ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, আমার দেশের প্রতিটি মানুষ খাদ্য পাবে, আশ্রয় পাবে, শিক্ষা পাবে, উন্নত জীবনের অধিকারী হবে- জাতির জনকের লালিত এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একে একে গ্রহণ করেছেন দারিদ্র্যবান্ধব কর্মসূচি। সারাদেশের এক কোটি ১০ লাখ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে স্থায়ী দারিদ্র্যমুক্ত করার সংগ্রামে লিপ্ত রয়েছেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাচ্ছে আমাদের সরকার। সমাজে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আর্থিক সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে সরকার।
তিনি বলেন, কারো সন্তান ইংল্যান্ড আমেরিকায় পড়াশোনা করবে, আর কেউ নিজের ছেলেকে স্কুল কলেজে পড়াতে পারবে না; এমন অসমতা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার চায় না।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখিয়েছেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। ক্ষুধার অভাব, বস্ত্রের অভাব এদেশে নেই। প্রত্যেকেকেই বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার আওতায় আনা হচ্ছে। ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও দুর্নীতিমুক্ত আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার কাজে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
ঈশ্বরদী একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতায় সাতটি ইউনিয়নের ৬৩টি গ্রামের তিন হাজার ৭৮০ জন সুফলভোগী রয়েছেন। এদের মধ্যে গবাদি পশু গরু, হাঁস-মুরগি, সবজি বীজ, গাছের চারা, ঘরের ঢেউ টিন বরাদ্দ বাবদ ২৮ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ঈশ্বরদীতে এ প্রকল্পের আওতায় ছয় কোটি ১৯ লাখ ২৩ হাজার টাকার তহবিল রয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আকবর হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিল মাহমুদ, ঈশ্বরদী উপজেলা চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান মিন্টু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহজেবিন শিরীন পিয়া, থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনিসুন্নবী বিশ্বাস, থানা ইনচার্জ বিমান কুমার দাস, বাংলাদেশ শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা রশিদুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।