ইয়াবাসহ ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ ও র্যাবের অভিযানে । এই ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় পাঁচটি মামলা হয়েছে।
আটকরা হলেন- মাহমুদুর রহমান ও তার স্ত্রী আরেফিন আক্তার জুঁই ওরফে রুশো, শাহাদৎ হোসেন নাটাই, গোলাম হোসেন, ফারুক হোসেন ও ইমরান হোসেন লস্কর।
সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক তুষার কুমার মণ্ডল জানান, মঙ্গলবার দুপুর ২টায় গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে লোন অফিসপাড়ার ফারুক হোসেন বাবুর বাড়ির দ্বিতীয় তলার ভাড়াটিয়া মাহমুদুর রহমান ও তার স্ত্রী আরেফিন আক্তার জুঁই ওরফে রুশোকে আটক করা হয়। পরে তাদের ঘর তল্লাশি করে দেড় হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশকে জানিয়েছেন, সাতক্ষীরার মানিক নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে তারা পাইকার দামে ইয়াবা কিনে নিয়ে যশোরে খুচরা বিক্রি করেন।
একই ফাঁড়ির এসআই শারিফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শহরের মনিহার প্রেক্ষাগৃহের বিপরীতে ক্যাফে জান্নাতের সামনে থেকে শাহাদৎ হোসেন নাটাইকে আটক করেন। পরে তার কাছ থেকে ২০০ ইয়াবা জব্দ করা হয়।
পুলিশ আরো জানায়, নাটাই কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও মাদক বিক্রেতা। তার বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় ইতোমধ্যে আটটি মামলা রয়েছে। অন্যদিকে সদর পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই ভোলানাথ দাস জানিয়েছেন, একই দিন রাত সাড়ে ৮টায় শহরের ধর্মতলা মোড়ের রাসেলের মুদি দোকানের সামনে থেকে গোলাপ হোসেনকে আটক করেন। তার কাছে ৩০০ ইয়াবা পাওয়া গেছে। গোলাপের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় অস্ত্র, মাদক বিস্ফোরক ও মারামারির অভিযোগে ছয়টি মামলা আছে।
র্যাব-৬ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের ডিএডি আব্দুল আউয়াল মিয়া জানান, মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১টায় যশোর শহরের রায়পাড়া রেলগট ডুমার হোটেলের সামনে থেকে ফারুক হোসেনকে আটক করে। তার কাছে ১০০ ইয়াবা পাওয়া গেছে।
উপশহর পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই শফিকুল ইসলাম জানান, রাত পৌনে ৮টায় শহরের ঘোপ মাহমুদুর রহমান স্কুলের গেটের সামনে থেকে ১০০ গ্রাম গাঁজাসহ ইমরান হোসেন লস্করকে আটক করা হয়। গ্রেপ্তার সবাইকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।