দুর্নীতি সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে । অসদুপায়ে উপার্জিত অর্থ খরচের খাতও অবৈধ। নারীর প্রতি যারা নিপীড়ন, নির্যাতন চালায় তারা কাপুরুষ। তাদের রখতে হলে সামাজিক দুর্নীতি রুখতে হবে। কাপুরুষরাই নারীর প্রতি নিপীড়ন ও নির্যাতন চালায়। বলে মন্তব্য করেছেন মহিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. ফাওজিয়া মোসলেম
আজ বিকেলে মহিলা পরিষদের আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা.ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ২০১৮ সালে নারী শিশু বৃদ্ধাসহ ৩ হাজার ৯০১৮টি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।২০১৯ সালে প্রায় ৪ হাজার। এসব ঘটনায় উল্লেখ করার মতো মাত্র নুসরাতকে যৌন হয়রানি ও হত্যার বিচার হয়েছে। বাকি একটি’রও সুষ্ঠু বিচার কিংবা তদন্ত আমরা দেখতে পাই নি।
এর কারণ পুরাতন আইনে ধর্ষণ ও নির্যাতনের বিচার প্রক্রিয়া, বিচারে দীর্ঘসূত্রতা। নারী নির্যাতনের বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নেয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, যে হারে নারী নিপীড়ন, নির্যাতন, ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে তাতে আমরা শঙ্কিত। বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে এসব ঘটনা বাড়ছে। নারী নির্যাতনের বিচার দ্রুত বিচার আইনে করা গেলে এর আইনগত প্রতিকার কিছুটা হলেও মিলবে। ‘চোর চুরি করলে চুরির শিকার যেন প্রমাণ করবে তিনি চুরির শিকার হয়েছেন, ধর্ষণের শিকার নারী কেন প্রমাণ করবে তিনি ধর্ষিত হয়েছেন। তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তাকেই প্রমাণ করতে হবে যে তিনি ধর্ষক নন। আমরা এই সংস্কৃতির বিচার চাই।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, ঢাবি পরিবারের সদস্য হিসেবে, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জড়িত সকলের জন্য ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা লজ্জার। এই ঘটনা মেনে নেয়া যায় না হতে পারে না। আমরা চাই যারা এই ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত তাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নিশ্চিত করা হোক, পাশাপাশি ভুক্তভোগী ছাত্রীর সামাজিক সম্মান রক্ষার সব ব্যবস্থা যেন করা হয়। এসময় বক্তব্য দেন মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সভাপতি রেখা চৌধুরী,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডক্টর শাইখ ইমতিয়াজ, শিক্ষার্থী সুয়িলা সাফারা, লিগ্যাল অ্যাডভোকেসির পরিচালক অ্যাড.মাকসুদ আক্তার, জনা গোস্বামী প্রমুখ।