উচ্চতা পাঁচ ফুট নয় ইঞ্চি। মাহাতাব উদ্দিন লাদেন।তবে তার মুখের দাড়ির দৈর্ঘ্য ছয় ফুট। প্রতি পাঁচ বছর পরপর এক ফুট করে দাড়িও কাটেন তিনি। যত্ন নেন রীতিমতো। এত বড় দাড়ি পেঁচিয়ে মুখে খোপা করে রাখেন। অনেকে প্রথমবার এত বড় দাড়ি দেখে হতবাক হয়ে যান।
মাহাতাব উদ্দিন লাদেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের পাককোলা গ্রামের মৃত হারেজ মন্ডলের ছেলে।
মাহাতাব উদ্দিন লাদেন জানান, ২০০২ সাল থেকে আমি দাড়ি রেখেছি। এ পর্যন্ত সাড়ে ছয় ফুট পর্যন্ত দাড়ি হয়েছে আমার, এখন ছয় ফুট। দুই বছর আগে এক ফুট দাড়ি কেটে ফেলেছি। আবার ২-৩ বছর পরে এক ফুট কাটব।
তিনি বলেন, আমি দাড়িকে সব সময় যত্ন করি। যত্ন না করলে দাড়ি হতো না। আমার এই দাড়ি অনেক শখের। রোজ আমি চিরুনি দিয়ে আঁচড়াই। এই দাড়ি দেখতে অনেক দূর থেকে লোকজন আসেন আমার বাড়িতে। দাড়ি ছেড়ে দিয়ে হাঁটা চলা করা বেশ অসুবিধা। তাই সব সময় বেধে রাখি।
মাহাতাব উদ্দিন লাদেন বলেন, আমি খুবই সংগ্রামী মানুষ। আমার নাম ছিল মাহাতাব উদ্দিন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে আমাদের এলাকায় একটা লোহার ব্রিজ দেওয়ার অনুমোদন দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে সেটা এলাকায় আসে বিএনপি সরকারের সময়ে। তখন বিএনপির সংসদ সদস্য ছিলেন আহসানুল হক পঁচা মোল্লা। ব্রিজের ঠিকাদারি কাজ পান তার ভাই বাচ্চু মোল্লা। তবে আমরা এলাকার লোক আওয়ামী লীগপন্থী হওয়ায় ব্রিজটি আমাদের এলাকায় না দিয়ে অন্য এলাকায় দেবার পাঁয়তারা করছিল। তখন আমি প্রতিবাদ করে ব্রিজ করতে বাধ্য করি। সেই সময় পৃথিবীব্যাপী লাদেন নাম খুব প্রতিবাদী ছিল। এজন্যই এলাকাবাসী আমার সাহসিকতা দেখে লাদেন নাম দেন।
দাড়ি সম্পর্কে তিনি বলেন, যতদিন বাঁচব এই দাড়ি আমি একবারে কাটব না। এই দাড়ি আমার পরিচয়।
দুই ছেলে ও দুই মেয়ে সন্তানের জনক এই মাহাতাব উদ্দিন লাদেন কুষ্টিয়ার একটি প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাকরি করেন।
আড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ আনসারী বিপ্লব জানান, মাহাতাব উদ্দিন লাদেন খুবই সৌখিন মানুষ। দাড়ি রাখা তার একটি শখ। তার উচ্চতার চেয়ে দাড়ির দৈর্ঘ্য বেশি। তার দাড়ি দেখতে অনেক দূর থেকে লোকজন আসে তার বাড়িতে।