জাতীয় পার্টির জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু আপিল করে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন । বৃহস্পতিবার শুনানি নিয়ে নির্বাচন কমিশন বাবলুর আপিল আবেদন মঞ্জুর করে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বাধীন আপিল কর্তৃপক্ষ এ শুনানি করে।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, ‘সিইসি আমাদের আপিল আবেদন মঞ্জুর করেছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশ বাতিল করে আমার প্রার্থিতা বৈধ করেছেন। এখন নির্বাচন করতে আমার কোনো বাধা নেই।’
গত রবিবার বাবলুর সঙ্গে গণফ্রন্টের প্রার্থী উত্তম কুমার চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিল করেছিলেন এই উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান।
জিয়াউদ্দিন বাবলু এক ব্যক্তির ঋণের গ্যারান্টার ছিলেন, যিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করেননি। কেউ ঋণখেলাপি হয়ে থাকলে নির্বাচনী নিয়ম অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের এক সপ্তাহ আগেই ঋণ হালনাগাদ করতে হয়। গ্যারান্টারদের ক্ষেত্রেও এ নিয়ম প্রযোজ্য। ওই ব্যক্তি ঋণ পরিশোধ করেছেন বাবলু মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন। এ কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। রিটার্নিং কর্মকর্তার ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পরে ইসিতে আপিল করেন জাপা প্রার্থী।
এই উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মোসলেম উদ্দিন আহমদসহ মোট ছয়জন প্রার্থীর
মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এখন জাপার প্রার্থী নিয়ে
ভোটের লড়াইয়ে থাকবেন সাতজন।
বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের নেতা মইন উদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুতে
শূন্য চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী উপজেলা ও চান্দগাঁও থানা নিয়ে গঠিত) আসনের
উপনির্বাচনে আগামী ১৩ জানুয়ারি ভোটের দিন রেখেছে নির্বাচন কমিশন।
বাবলুর প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার প্রসঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় ইসির আপিল আদেশের কপি পেলেই তাকে বৈধ প্রার্থীর তালিকাভূক্ত করা হবে। ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় রয়েছে। এরপরই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।’