আওয়ামী লীগের ভেতরে অনেক জামাতি অনুপ্রবেশ করেছে বিশিষ্ট সাংবাদিক, ভাষা সৈনিক আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেছেন। তাদের বের করে দিতে হবে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘সমপ্রীতি বাংলাদেশ’ সংগঠনের আয়োজনে ‘সমপ্রীতি, বঙ্গবন্ধু ও বাঙালির বিজয়’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেন, এখন মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরির কথা বলা হচ্ছে। দেখা যাবে, এ তালিকা তৈরি করছে স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকাররা। মুক্তিযোদ্ধারা রাজাকার আর রাজাকাররা মুক্তিযোদ্ধা। আওয়ামী লীগের ভিতর জামায়াতের অনুপ্রবেশ ঘটেছে।
এরা বঙ্গবন্ধুর নাম বেশি বলে। এরা বিপদের সময় ভয়ানক ভাবে আঘাত করবে। আওয়ামী লীগের ভেতরে জামায়াতিদের বের করে দিতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে তারা আবারও সমস্যা সৃষ্টি করবে। রাজাকারের তালিকা করার আগে দেখা দরকার আওয়ামী লীগের ভিতর কত রাজাকার আছে। কারা বঙ্গবন্ধুকে দেশদ্রোহী বলেছে,কারা বঙ্গবন্ধুর ফাঁসি হলে খুশি হতেন। তারা এখন আওয়ামী লীগ সরকারের বড় বড় পর্যায় আছে। রাজাকারের তালিকা করার আগে এদের তালিকা করা দরকার। তিনি আরো বলেন, তারেক রহমানের কত কোটি টাকা, আল্লাহ ভালো জানেন। তিনি লন্ডনে অসুস্থতার অজুহাতে থাকেন। আসলে তিনি সুস্থ। তাকে লন্ডনের শপিংমলে স্ত্রীকে নিয়ে ভালোভাবে হাঁটতে দেখেছি। আমাকে দেখে অসুস্থতার ভান করেন। তারেক রহমান তার স্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর পরিকল্পনা করছেন। তার স্ত্রী ভালো মানুষ। এদিকে রাজাকারকে শহীদ বলায় সংগ্রাম পত্রিকার বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয় থেকে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। তিনি বলেন, কাদের মোল্লা একজন আত্মস্বীকৃত যুদ্ধাপরাধী। যার আদালতের বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির রায় হয়েছে, রায় কার্যকরও হয়েছে। একটি পত্রিকা তাকে শহীদ বলেছে। ওর মতো একটা রাজাকার, কুলাঙ্গার, জল্লাদ, কসাই তার জন্ম কী, আমরা জানি না? তিনি আরো বলেন, এখন সবার প্রশ্ন হচ্ছে, তার বিচার কি হবে? হ্যাঁ, তার বিচার শুরু হয়ে গেছে। সবাই কথা বললে হবে না, কাজ করতে হবে। মন্ত্রী বলেন, সংগ্রাম পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ পত্রিকার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা মন্ত্রণালয় নেবে। যেন বাংলাদেশে এ ধরনের ধৃষ্টতা কেউ দেখাতে না পারে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘সমপ্রীতি বাংলাদেশ’র আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিকুর রহমান, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সিনিয়র সাংবাদিক হারুন হাবিব প্রমূখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক মামুন আল মাহতাব স্বপ্নিল।