১০টি বিআরটিসি বাস অবশেষে আগামী জানুয়ারী মাসে চালু হচ্ছে শিক্ষার্থীদের জন্যে । প্রতিটি বাসে ৭৩ জন করে ১০টি দ্বিতল বাসে মোট ৭৩০ জন শিক্ষার্থীর একসাথে যাতায়াতের ব্যবস্থা থাকবে। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য প্রাথমিকভাবে দুটি রুট নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রয়োজনে রুট আরো বৃদ্ধি করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন সূত্র। বিআরটিসি সূত্র জানায়, গত জুন ও জুলাই মাসে ৭৩ আসনের ৫টি দ্বিতল ও ৪৫ আসনের পাঁচটি এক তলা বাস আসে চট্টগ্রাম বিআরটিসিতে। পরে পাঁচটি এক তলা বাস বাদ দিয়ে সবগুলো দ্বিতল বাস আনা হচ্ছে। বাকি তিনটি বাস আজ রবিবারের মধ্যে আসার কথা রয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে নগরীর ২ নম্বর গেট থেকে জিইসি-টাইগারপাস হয়ে আগ্রাবাদ এবং ২ নম্বর গেট থেকে চকবাজার-কোতোয়ালী-নিউমার্কেট-টাইগারপাস হয়ে আগ্রাবাদের দুটি রুটে বাস সার্ভিস চালুর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন জানান, ইতোমধ্যে ড্রাইভার ও হেলপার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আগামী বছরের (জানুয়ারী) প্রথম সপ্তাহে বাসগুলো চালু হবে আশা করছি। এগুলো যেহেতু শিক্ষার্থীদের জন্য, তাই ভাড়া যত কম নেয়া যায় আমরা সেই চেষ্টা করবো।
গত বছর নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীরা নয়টি দাবি তোলেন। আন্দোলন শেষে ঢাকার নয় দাবি ছাড়াও চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীরা আরো কয়েকটি দাবি তোলেন প্রশাসনের কাছে। নয় দাবি ছাড়াও এরমধ্যে ছিল গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ফুটওভারব্রিজ নির্মাণ, শিক্ষার্থীদের জন্যে পরিবহনের ব্যবস্থা এবং রাস্তা পারাপারের স্থানে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড রাখা।

এরপরই চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য দশটি বিআরটিসি বাস বরাদ্দের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চলতি বছরের এপ্রিলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা সম্বলিত চিঠি দেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয় করে বাস সার্ভিস চালু করতে নির্দেশনা দেয়া হয়।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আবু হাসান সিদ্দিক জানান, শিক্ষার্থীদের বাসগুলো চলাচলের জন্য প্রতিমাসে প্রায় চার লাখ টাকার মত

ব্যয় হবে। এক্ষেত্রে আমরা সরকার থেকে কোন ভর্তুকি পাবো না। তাই আমরা অন্যভাবে এর মেন্টেইন্যান্স খরচ বহন করার চেষ্টা করছি। ভাড়ার ব্যাপারে আমরা মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছি, কয়েকদিনের মধ্যে এর উত্তর পাবো আশা করছি। তবে আমরা চেষ্টা করছি শিক্ষার্থীদের ভাড়া ৫-৭ টাকার মধ্যে রাখতে।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি জানান, শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আমাদের দাবি ছিল যাতে কোনভাবেই ভাড়া ৫ টাকার বেশি না হয়। এই দশটি গাড়ি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য উপহার। তাই এগুলোর ভাড়া কোনভাবেই সাধারণ পরিবহনের মত হলে হবে না। তাই আমাদের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসককে বলা হয়েছে, দৈনিক ভিত্তিতে ড্রাইভার ও হেলপার নিয়োগ দেয়া হয়। যাতে খরচ কম হয়। আমরা যতটুকু শুনেছি, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে ড্রাইভার ও হেলপার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাই সরকারি স্কেলে তাদের বেতন-ভাতা বেশি হবে। কিন্তু চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হলে বেতন-ভাতা অনেক কম হতো।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031