ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধন বিল বহুমুখী সমস্যার সৃষ্টি করছে সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর বলেছেন। এখানে সাম্প্রদায়িক বিষয় আমরা লক্ষ্য করছি। মুসলমানদের টার্গেট করে এই বিল করা হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় জন্য সাম্প্রদায়িকতার একটি বিষাক্ত যোগসূত্র আছে। দক্ষিণ এশিয়ায় সাম্প্রদায়িকতার সবচেয়ে মূল্য আমরা দিয়েছি ১৯৪৭ সালে। এরপর ১৯৭১ সালে পাকিস্তান আমাদের উপড় চড়াও হয় আমরা বাঙালি বলে। এর পরবর্তীতে ভারতে বাবরি মসজিদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময় যে রায়টের ঘটনা ঘটেছে তা সাম্প্রদায়িকতার কারণেই। সেদিক থেকে যে কোন সাম্প্রদায়িকতার উদ্যোগ বা প্রয়াসে ঝুঁকি থাকে।
এই বিলের ফলে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলে চরমপন্থিরা আবার মাথাচারা দিয়ে উঠছে। আসামের লোকজন বলছে এখন আসামে শুধুমাত্র আসামের লোকজনই থাকতে পারবে এখানে বাঙালি বা অন্য কোন জাতের মানুষ আমরা চাই না।
একইভাবে ত্রিপুরার আদিবাসীরাও একই কথা বলছে। সুতরাং ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধন বিলে আমরা সাম্প্রদায়িকতার একটা চেহারা দেখছি। একটা জাতিগত চেহারা দেখছি। ভারত যেহেতু আমাদের প্রতিবেশী দেশ সেজন্য যে কোন অস্থিরতাই আমাদের চিন্তিত করে। পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের সংখ্যলঘুরা অত্যাচারিত হচ্ছে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সাহার এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গে হমায়ুন কবীর বলেন, তার বক্তব্যের সঙ্গে আমরা এক মত নই। এটা তার নিজস্ব যুক্তি। এ কথা বলে অমিত সাহা বিলটিকে যথার্থতা দেয়ার চেষ্টা করছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে এ যুক্তি মানছিনা। বাংলাদেশে যে সকল সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আছে তারা সকলেই নিরাপদে আছেন। তারা স্বস্তিতে আছেন বলে আমার বিশ্বাস। এবং তারা স্বস্তিতে থাকুন এটাই আমরা চাই। বাংলাদেশে কোন সাম্প্রদায়িকতা বা জাতিগত কোন সংঘাত কখনই চাইনি, এখনও চাইনা, ভবিষ্যতে চাইব বলে মনে হয় না।