ঢাকা ১৩ জুন : বেগম খালেদা জিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার অরলান্ডো শহরে একটি সমকামী নাইটক্লাবে হামলা চালিয়ে অন্তত ৫০ জনকে হত্যা এবং অর্ধশতাধিক মানুষকে আহত করার ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন । তিনি আ বিশ্ব সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ নির্মূলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ারহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার বিকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক শোকবাণীতে খালেদা এ শোক প্রকাশ করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার অরলান্ডো শহরে একটি নাইটক্লাবে উগ্রবাদী দুস্কৃতিকারীদের হামলা শুধু অমানবিকই নয়, এটি কাপুরোষোচিত। উগ্রবাদ শুধু নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের বিষয় নয়, এটির ভৌগলিক বিস্তৃতি খুব দ্রুতগতিতে অগ্রগতি লাভ করেছে। এদের কর্মকাণ্ড সারাবিশ্বকেই হুমকির মুখে ফেলেছে। এটি সহিষ্ণুতা, সামাজিক সম্প্রীতি ও মানবতার ওপর হামলা।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘যারা হিংস্র পশুর আত্মা ধারণ করে তারাই এই ধরনের অমানবিক, নির্দয় হামলা সংঘটিত করতে পারে। মনে হয় বিশ্বব্যাপী এই উগ্রপন্থী দুস্কৃতিকারীরা তাদের দুস্কর্মের বাধাহীন স্বাধীনতাকে নিজেদের অধিকার বলে মনে করছে। এরা অপরের স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রাখতে পারে না। এরা মানুষ হত্যার বীরত্বে বন্য উল্লাসে মেতে ওঠে।’
খালেদা বলেন, ‘সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা এবং মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক সংবিধান ও আইনের শাসনকে শত্রুজ্ঞান করে। জীবন, ভালবাসা ও মনুষ্যত্বের কোনো বোধ এদের হৃদয়ে প্রবেশ করেনি। তাই এরা হাতে বন্দুক নিয়ে নির্বিচারে মানুষ মারতে বিচলিতবোধ করে না। এদের অন্তর্লোকে শান্তি ও সহাবস্থানের কোনো স্থান নেই।’
তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের কোনো রাষ্ট্রীয় সীমানা নেই। সারাবিশ্বকে অস্থিতিশীল করে সন্ত্রাসীরা নিজেদের অন্ধ মতাদর্শকে চাপিয়ে দিতে চায় মানুষের ওপর। এটি করতে গিয়ে তারা আশ্রয় নেয় হিংস্র পশুশক্তির। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে মধ্যযুগীয় অন্ধকার পরিব্যপ্ত করার জন্য।’
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ফ্লোরিডার অরলান্ডো শহরে নাইটক্লাবে উগ্রবাদী বন্দুকধারীর হামলায় ব্যাপক হতাহতের ঘটনার আমি দ্বিধাহীন কণ্ঠে তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। এ নৃশংস ঘটনায় প্রকৃত দায়ী ও চক্রান্তকারীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এই শোকাহত ঘটনায় আমি যুক্তরাষ্ট্রের শোকাহত জনগণ ও সরকারকে সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি।’