এইডস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৩ হাজার দেশে বর্তমানে । জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা এ পরিসংখ্যান দিয়েছে। এসব রোগীর মধ্যে এ পর্যন্ত সনাক্ত হয়ে চিকিৎসার আওতায় এসেছে মাত্র ৬ হাজার ৬০৬ জন। এখনও সনাক্তের বাইরে রয়ে গেছে প্রায় ৭ হাজার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এইডস সংক্রমণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কম ঝুকিপূর্ণ দেশ। এখনও পর্যন্ত সাধারণ জনগণের মধ্যে সংক্রমণের হার শুন্য দশমিক ১ ভাগের নিচে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী যেমন শিরায় মাদক গ্রহণকারী, যৌনকর্মী, সমকামী ও হিজড়াদের (তৃতীয় লিঙ্গ) মধ্যে সংক্রমণের হার ৩ দশমিক ৯ শতাংশ।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিবি-লেপ্রোসি ও এইডস/এসটিডি প্রোগ্রামের লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, বিভিন্ন তথ্য উপাত্তে দেখা গেছে, গত এক বছর নতুনভাবে এইচআইভি সংক্রমণ হতে পারে সর্বোচ্চ ৯০০ জনের মতো। তবে মৃতের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় কমে এসেছে।
তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত চিকিৎসাসেবা এনজিও থেকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর হওয়ায় রোগীরা বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা কমে এসেছে।
এদিকে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ১লা ডিসেম্বর বাংলাদেশেও বিশ্ব এইডস দিবস পালিত হচ্ছে।
দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বছরের দিবসটির প্রতিপাদ্য হল ‘এইডস নির্মূলে প্রয়োজন, জনগণের অংশগ্রহণ’।
প্রতিটি জেলায় সিভিল সার্জন ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকদের নেতৃত্বে দিবসটির তাৎপর্য ব্যাখা পূর্বক আলোচনা সভা ও র্যালি করা হবে। এদিকে, ঢাকায় বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনসস্টিটিউশন মিলনায়তনে।