কুমিল্লা ১৩ জুন : আজ সোমবার সকালে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুমতাহিন বিল্লাহর আদালতে প্রতিবেদনটি দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মো. ইব্রাহিম। কুমিল্লার কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়েছে।
এর আগে রবিবার তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের পক্ষ থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) জমা দেয়া হয়।
তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. কে পি সাহা রবিবার জানান, মরদেহ বিকৃত হওয়ায় ময়নাতদন্তে তনুর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তিনি বলেন, ‘মৃত্যুর আগে তনুর সঙ্গে কারও শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল। তবে এটাকে ধর্ষণ বলা যায় না।’ তিনি মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে ‘পারিপার্শ্বিক অবস্থা’ বিবেচনায় অধিকতর তদন্তের কথা বলেন।
গত ২০ মার্চ তনুর লাশ কুমিল্লা সেনানিবাসের পাওয়ার হাউসের অদূরের কালভার্টের পাশে ঝোপ থেকে উদ্ধার করা হয়। ২১ মার্চ তনুর লাশের প্রথম ময়নাতদন্ত হয়। পরে ২৮ মার্চ তনুর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করার জন্য আদালত নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ মার্চ তনুর লাশ মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের বাড়ির কবরস্থান থেকে উত্তোলন করা হয়। ৪ এপ্রিল দেয়া হয় প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন। এতে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত নয় এবং ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করেন চিকিৎসক শারমিন সুলতানা। ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেন তনুর বাবা-মা। দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে পরিবার।