আরও ৩৫ নারী ভিডিও প্রকাশ করেছেন সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরার আকুতি জানিয়ে বলে জানা গেছে।
বার্তা সংস্থা ইউএনবি বুধবার ওই নারীদের একটি ভিডিও পোস্ট শেয়ার করে এ খবর জানিয়েছে।
এর আগে ভিডিও প্রকাশ করে দেশে ফিরেছেন পঞ্চগড়ের সুমী আক্তার। একইভাবে ভিডিও প্রকাশ করে আরেক নারী হোসনা আক্তার বুধবার রাতে দেশে ফিরছেন।
এ বিষয়ে ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, পরপর দুজনের উদ্ধারের ঘটনা দেখে ভিডিও প্রকাশ করেছেন আরও ৩৫ জন নারী কর্মী।
শরিফুল হাসান বলেন, আমি গত দশ বছর ধরে বলছি আমাদের মেয়েদের শুধু একটা মোবাইল ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হোক তারা যাতে বিপদে পড়লে জানাতে পারে। দেখবেন তখন সব সত্য বেরিয়ে আসবে।
তিনি বলেন, কিন্তু আফসোস সৌদিরা আমাদের মেয়েদের মোবাইল ব্যবহার করতে দেয় না। সুমি, হোসনারা বহু কষ্ট করে লুকিয়ে যোগাযোগ করে। আমার ভয় হচ্ছে এতগুলো ভিডিও প্রকাশ করার পর সৌদিরা হয়তো আরও কঠোর হবে। আমি বলব আমাদের এখন রাষ্ট্রীয়ভাবে দাবি তোলা উচিত যাতে আমাদের মেয়েরা মোবাইল ব্যবহার করতে পারে।
এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত বাংলাদেশি নারী কর্মীদের মধ্যে গৃহকর্মীরাই বেশি নির্যাতনের শিকার হন দাবি করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে কর্মরত নারী কর্মীদের মধ্যে নির্যাতনে শিকারের হার ১ শতাংশেরও কম।
সংসদ ভবনে বুধবার অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়। সংখ্যায় যা-ই হোক, নির্যাতন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলেছে সংসদীয় কমিটি। একই সঙ্গে পররাষ্ট্র এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে যৌথভাবে নির্যাতন বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।