ঢাকা ১৩ জুন : যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় পলাতক ২৬ আসামিকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে সোমবার আদেশ দেন ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট রায়হানুল ইসলাম। একই সঙ্গে আগামী ২১ জুলাই পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রতিবেদন আদালতে দাখিলেরও নির্দেশ দেন বিচারক।নাশকতার এক মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল হওয়ায় তাদের পলাতক দেখিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়া অপর মামলা বদলির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে দারুস সালাম থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট করে ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট এমদাদুল হকা দায়রা আদালতে বদলির নির্দেশ দেন।
গত ২৫ মে মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা ওই থানার এসআই আব্দুর রাজ্জাক চার্জশিট দাখিল করেন।
পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মামলায় গত ৫ এপ্রিল ঢাকা সিএমএম আদালত ২৬ আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
পলাতক আসামিরা হলেন, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ, খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, বিএনপি নেতা বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপির ঢাকা মহানগরের সদস্যসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুল বারী হেলাল, কাইয়্যুম কমিশনার, লতিফ কমিশনার, মীর আবু জাফর শামসুদ্দিন দিদার, যাত্রাবাড়ী এলাকার সাবেক এমপি সালাউদ্দিন আহমেদ, তার ছেলে তানভির আহমেদ রবিন, নবী উল্লাহ নবী প্রমুখ।
মামলাটিতে খালেদা জিয়া ও তার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন গত ৫ এপ্রিল জামিন গ্রহণ করেন।
পেট্রলবোমায় মানুষ পুড়িয়ে হত্যা ও দগ্ধ হওয়ার এই মামলায় ২০১৫ সালের ৬ মে খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি (হত্যা) এবং বিস্ফোরক আইনে দুটি এবং ওই বছর ১৯ মার্চ বিশেষ ক্ষমতা আইনে অরেকটি চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের এসআই বশির আহমেদ।
২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাত ৯টায় যাত্রাবাড়ীর ডেমরা রোর্ডের মাতুয়াইল কাউন্সিলর অফিসের সামনে গ্লোরী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা হামলায় দগ্ধ হন কমপক্ষে ৩১ জন। যাদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসারত অবস্থায় নূর আলম নামে একজন মারা যায়।
ঘটনার পর পরিককল্পনাকারী হিসেবে বিএনপির কেন্দ্রীয় ১৮ জন নেতাসহ যাত্রবাড়ীর ছাত্রদল শ্রমিকদলসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৫০ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলাটি করা হয়েছিল। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নাম এজাহারে আসামির তালিকায় উল্লেখ করা না থাকালেও এজাহারের বক্তব্যের মধ্যে হুকুমদাতা হিসেবে তার নাম উল্লেখ করা হয়েছিল।