শুল্ক গোয়েন্দা ব্যবসায়ীদের কাছে কী পরিমাণ পেঁয়াজ মজুদ আছে সে তথ্য যাচাই করতে অন্তত ৩৩২ পেঁয়াজ আমদানিকারকের বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত নিয়ে মাঠে নেমেছে। পেঁয়াজের বাজারে অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরির জন্য বিভিন্ন মহল থেকে মজুরদারদের দিকেই অভিযোগ আসছে। সে প্রেক্ষিতেই নিয়ন্ত্রণহীন পেঁয়াজের বাজারের তথ্য অনুসন্ধানে শুল্ক গোয়েন্দা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে বড় ৪১ পেঁয়াজ আমদানিকারককে।

সোমবার ১৪ আমদানিকারককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ১০ জন শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে হাজির হন। এ দশজনের প্রতিষ্ঠান হলো- রাজশাহীর এম এস ফুল মোহাম্মদ ট্রেডার্স, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একতা শাসা ভন্ডার, এম এস সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ, নূর এন্টারপ্রাইজ, এম এস আ এম অ্যাগ্রো, টি এম এন্টারপ্রাইজ ও বি এইচ ট্রেডিং অ্যান্ড কোম্পানি, সাতক্ষীরার এম এস দীপা এন্টারপ্রাইজ প্রোপার্টিজ, নওগাঁর জগদীশ চন্দ্র রায় এবং বগুড়ার এম এস সুমাইয়া এন্টারপ্রাইজ।

আগামীকাল জিজ্ঞাসাবাদের কথা রয়েছে আরও ২৭ আমদানিকারককে। এদের সঙ্গে যুক্ত হবেন সোমবার অনুপস্থিত থাকা চারজন।

জিজ্ঞাসাবাদের পর মঙ্গলবারের মধ্যে কী পরিমান পেঁয়াজ মজুদ আছে সে তথ্য জানা যাবে বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সহিদুল ইসলাম।

সোমবার বিকালে ঢাকার কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাজারে পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে যেসব ব্যবসায়ী একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করেছে আমরা মূলত তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। তবে এখনই কারও নাম উল্লেখ করার মতো সময় হয়নি।’

শুল্ক গোয়েন্দার কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের আগস্ট থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮০৬ দশমিক ৪৭ মেট্রিক টন। তারপরও বাজার কেন লাগামহীন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর সে কারণে বড় ৪১ আমদানিকারককে জিজ্ঞাসাবাদের উদ্যোগ।

এদিকে শুল্ক গোয়েন্দার জিজ্ঞাসাবাদে আসা কয়েকজন আমদানিকারকের দাবি, তারা যে দামে পেঁয়াজ আমদানি করেছেন তার চেয়ে এক থেকে ২ টাকা বেশি দামে বিক্রি করেছেন। মজুদের কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে মধ্যস্বত্বভোগীরা দাম বাড়িয়েছেন বলে ভাষ্য তাদের।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031