এম সাখাওয়াত হোসেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বলেছেন, সরকারের তরফ থেকে শুদ্ধি অভিযান আসলেই কোন দুর্নীতি উদঘাটনের অভিযান ছিল না কি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ছিল? এখন আর শুদ্ধি অভিযান দৃশ্যমান না হওয়ায় মানুষের মনে এক ধরনের শঙ্কা তৈরি হয়েছে আদৌ এ অভিযান চলবে কিনা। যদিও সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে এবং প্রধানমন্ত্রী নিজেও বলছেন অভিযান চলছে এবং চলবে। কিন্তু দৃশ্যমান শুদ্ধি অভিযানে জনসাধারণ যেভাবে সাপোর্ট করেছিল এখন আর সেই অভিযান দৃশ্যমান নয়। দুদক দুর্নীতিবাজদের একটা তালিকা তৈরী করেছে। তাদের পর্যায়ক্রমে ডাকাও হচ্ছে। কিন্তু দুদক আসলেই কি করছে সেটা জনসম্মুখে খুব পরিষ্কার না। হটাৎ করে একটা অভিযান শুরু হলো আবার সেটা কেন কমে আসলো? এটা কি রাজনৈতিক কোন কারণে কমে আসছে নাকি অন্য কারণে সেটাও পরিষ্কার না। যেহেতু হাই প্রোফাইল দুর্নীতির সঙ্গে রাজনৈতিক লোকজন জড়িত থাকে এজন্য অনেক সময় এধরনের অভিযান চলমান রাখা কঠিন হয়ে যায়।
অভিযান পরিচালনায়ও দ্বিধাদ্বন্ধ কাজ করে। দেখা যায় যে, এধরনের অভিযান অন্যরকম ফর্মে টার্ন নেয়। রাঘব বোয়লরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। এখন দেশে নতুন নতুন ক্রাইসিস তৈরী হচ্ছে। মানুষ পেঁয়াজ, লবন নিয়ে ব্যস্ত আছে। পেঁয়াজের দাম কমছে না এ নিয়েই চর্চা চলছে। রাঘব বোয়লরা ধরা পরলো কিনা সেদিকে কেউ নজর দিচ্ছেনা সেসব নিয়ে চর্চা হচ্ছেও না।