এটি একটি যৌথ সত্ত্বা। নির্বাচন কমিশন কোন একক সত্ত্বা নয়। চারজন কমিশনার ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার মিলেই নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এককভাবে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, নির্বাচন কমিশন বলতে শুধু প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বুঝায় না। চার কমিশনার এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার সহ পাঁচজন মিলেই কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এককভাবে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। নিয়োগ ও এ সংক্রান্ত আর্থিক ব্যবস্থাপনাসহ যে কোন বিষয়ে কমিশন সভায় সকল কমিশনারের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচন কমিশন সচিবের।
কোন বিষয়ে অন্য কমিশনাররা যদি না চায় বা না মানেন তবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে না। একজনকে কোন ক্ষমতা দেয়া হয়নি। সকল ক্ষমতা কমিশনের। আর কমিশন মানে হচ্ছে পাঁচজন। যেহেতু নির্বাচন কমিশনের ৩৩৯ জন কর্মচারীর নিয়োগ নিয়ে চার কমিশনার এরই মধ্যে প্রতিবাদ করেছেন তার মানে হচ্ছে এই নিয়োগ কমিশন সভার সিদ্ধান্তে হয়নি। নিয়োগ প্রক্রিয়া আবার নতুনভাবে করতে হবে। আর সেটা যদি করা না হয় তবে নির্বাচন প্রধানকে এর দায় নিতে হবে। ৩৩৯জন লোক নিবেন আপনি এটা কি একক সিদ্ধান্তে হয়ে যায়। এতে নির্বাচন কমিশনের নিয়ম ভঙ্গ হয়েছে। নিয়োগের বিষয় ও এ সংক্রান্ত ব্যয় নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার বর্হিভূত নির্বাচন কশিনের সিনিয়র সচিবের এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ড. তোফায়েল বলেন, প্রশাসনতো সরকার চালায়। এর কারনে তাদের এত দৌরাত্ম। তারা যেটা বলে সেটাই আইন হয়ে যায়। এ কারণেই তারা বলছে নিয়োগ প্রক্রিয়াই কোন আইন ভঙ্গ হয়নি এটা হচ্ছে প্রশাসনের ঔদ্ধত্য। তবে চার কমিশনারই যেহেতু নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাদের সম্পৃক্ততা ছিল না বলে মতামত দিয়েছেন সেহেতু এ নিয়োগ প্রক্রিয়া হতে পারে না। এখন যে প্রশ্নটা আসছে তা হলো কমিশনের অভ্যান্তরীণ ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়েছে। এদিকে এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজনের) সভাপতি বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, নির্বাচন কমিশন একটা যৌথ সত্তা। তাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। ভারতের উচ্চ আদলাতের রায়ে আছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার একক কর্তা ব্যাক্তি নয়। চার কমিশনারকে বাদ দিয়ে যেভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে এটা গ্রহণযোগ্য না। নির্বাচন কমিশনের যেকোন বিষয় কমিশন সভায় পাঁচ কমিশনারের মতামতের ভিত্তে নিতে হবে। যেহেতু চার কমিশনার নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং এর ব্যয় সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের মতামত নেয়া হয়নি বলেছেন, তার মানে এটা স্পষ্ট নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়টি কমিশন সভার মধ্য দিয়ে আসেনি।