খুলনা ১১ জুন : নিজের নয় বছরের ছেলে হাসমিকে খুন করেছেন মা সোনিয়া বেগম অনৈতিক কাজ দেখে ফেলায় । হত্যার পর লাশ সিমেন্টের বস্তায় ভরে সরদারডাঙ্গা বিলে ফেলে দেওয়া হয়।
হাসমি হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে গ্রেপ্তার মা সোনিয়া শনিবার বিকেলে মহানগর হাকিম ফারুক ইকবালের আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে এই স্বীকারোক্তি করেন।
স্বীকারোক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম খান বলেন, ৬ জুন রাত পৌনে নয়টার দিকে সোনিয়া বেগম এলাকার যুবক নুরুন্নবী (২০) ও রসুলের (২২) সঙ্গে দুই হাজার টাকা চুক্তিতে সরদারডাঙ্গা বাগানের (বাঁশঝাড়) মধ্যে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন। এ সময় ছেলে হাসমি ঘটনা দেখে ফেলে। তাৎক্ষণিক পরিকল্পনায় মায়ের সামনেই তাকে ধারালো ছুরি দিয়ে গরা কেটে খুন করে নুরুন্নবী। এরপর ঘটনা ধামাচাপা দিতে মরদেহ সিমেন্টের বস্তায় ভরে খুলনা বাইপাস সড়ক সংলগ্ন সরদারডাঙ্গা বিলে ফেলে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, ২০০৬ সালে মানিকতলার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খানের মেয়ে সোনিয়ার সঙ্গে মো. হাফিজুর রহমানের বিয়ে হয়। বিয়ের মাস ছয়েক পর হাফিজুর রহমান বিদেশে চলে গেলে সোনিয়া এলাকার যুবকদের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান। পরে হাফিজুর দেশে ফিরে বিষয়টি জানতে পারেন। মাস ছয়েকেআগে সোনিয়াকে তালাক দেন তিনি।
জবানবন্দিতে সোনিয়া বলেন, ৬ জুন সোনিয়া তাদের দুই সন্তান হাসমি ও হাসফির মধ্যে বড়জন হাসমিকে স্বামীর কাছ থেকে নিজের কাছে আনেন। উদ্দেশ্য ছিল, ছেলেকে গুম করে স্বামীর কাছ থেকে অর্থ আদায় করা। কিন্তু বিষয়টি অন্যদিকে চলে যায়।
এদিকে স্কুলছাত্র হাসমি হত্যার বিচার চেয়ে কাল রোববার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত আড়ংঘাটা বাজারে মানববন্ধন করবে আড়ংঘাটার সরদারডাঙ্গা শহীদ হাতেম আহম্মেদ আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গ্রামবাসী।