এলডিপি আমার নামে নিবন্ধন করেছি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি’র (এলডিপি) সভাপতি কর্ণেল (অব.) অলি আহমেদ বলেন। এটি এক নম্বর রাজনৈতিক নিবন্ধিত দল। সুতরাং এলডিপি অন্য কারো আইনগতভাবে নেয়ার অধিকার নেই। আজ সোমবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় মুক্তি মঞ্চের উদ্যোগে ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এদিন সকালে একই হলরুমে এলডিপি নেতাদের একাংশ অলির প্রতি অনাস্থা জানিয়ে নতুন কমিটি গঠন করে। ওই কমিটির সভাপতি হিসেবে আব্দুল করিম আব্বাসী এবং সদস্য সচিব হিসেবে শাহাদাত হোসেন সেলিমের নাম ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে দল ভাঙ্গার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অলি বলেন, গত ১২ বছর যাবত আমি এই দলটি প্রতিষ্ঠা করেছি। তারা ছিল আমার দলের সদস্য সন্তান সমতুল্য।
তাদের বিরুদ্ধে কথা বলাটা অশোভনীয়। সুতরাং তাদের বিরুদ্ধে আমার কোন মন্তব্য নাই।
গত ৯ নভেম্বর এলডিপির যে নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে তা-অগঠনতান্ত্রিক, সেখানে অলির বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করেন এলডিপির নতুন অংশের নেতারা এবং অলি কর্তৃক ঘোষিত ওই কমিটিতে নেতাদের পদ বঞ্চিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে অলি বলেন, কোন নেতাকে দল থেকে বঞ্চিত করা হয় নাই। সে সবসময় নিজেকে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে লিখতেন। আমাদের গঠনতন্ত্রে কোনো সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এবং সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ নাই।
তিনি বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হয়েছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর প্রোগ্রাম হয়েছে ২৬ শে অক্টোবর। সেই প্রোগ্রামের তারা উপস্থিত ছিল না এবং তারা আমার দলের সদস্য না।
আপনি নিজেও এলডিপি দাবি করেছেন, আবার আব্দুল করিম আব্বাসী এবং শাহাদাত হোসেন সেলিম ও নিজেদের দাবি করছেন আসলে মুল এলডিপি কোনটা এমন প্রশ্নে অলি বলেন, কেউ যদি তার বাপের নাম বাদ দিয়ে আমার নামে পরিচিত হতে চায়, আমার কোন অসুবিধা নাই।
এলডিপির ওই অংশকে যদি ২০ দল স্বীকৃতি দেয় তাহলে আপনাদের অবস্থান কি হবে? এর জবাবে অলি বলেন, আমিতো ২০ দলের ইনচার্জ না। যখন এটা হবে তখন সেটা দেখব।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ অ্যাডভোকেট এহসানুল হুদা, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপা সহ সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুনির হোসেন কাসেমী, বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মেজর অবসরপ্রাপ্ত সরোয়ার হোসেন, জাতীয় দলের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম, এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।