চার দিনের সরকারি সফরে দুবাই পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের শাসক মোহাম্মদ বিন রাশেদ আল মাকতুমের আমন্ত্রণে এই সফর করছেন প্রধানমন্ত্রী। সফরকালে তিনি দুবাই এয়ার শো ও আরও কিছু অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী আমিরাত এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট গতকাল স্থানীয় সময় রাত ১০টা ১০ মিনিটে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। বিমানবন্দরে অভ্যর্থনার পর আনুষ্ঠানিক মোটর শোভাযাত্রা সহকারে প্রধানমন্ত্রীকে আবুধাবির হোটেল শাংরি-লায় নিয়ে যাওয়া হয়। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী এই হোটেলেই অবস্থান করবেন।
এর আগে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে ফ্লাইটটি দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূরে আলম চৌধুরী, কূটনৈতিক কোরের ডিন, আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত, তিন বাহিনীর প্রধানেরা, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এবং ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা।
১৭ই নভেম্বর সকালে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ও সফল এয়ার শো এবং মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও আফ্রিকার বৃহত্তম এয়ারোস্পেস ইভেন্ট দুবাই এয়ার শো-২০১৯-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। চার দিনের আমিরাত সফর শেষে ১৯শে নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরবেন।
বিশ্বের ৮৭ হাজার অংশগ্রহণকারী এবং ১ হাজার ৩০০ এক্সিবিটর দুবাইয়ের ভবিষ্যৎ বিমানবন্দর দুবাই ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রালে এ উপলক্ষে সমবেত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
১৭ থেকে ২১শে নভেম্বর পর্যন্ত দুবাইয়ের আকাশে দ্বিবার্ষিক এই এয়ার শো অনুষ্ঠিত হবে।
আশা করা হচ্ছে, এটি ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত এয়ার শোর সাফল্যকে ছাড়িয়ে যাবে।
ঈররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে তিনটি স্মারক সই
হবে। এগুলোর মধ্যে আছে দুই দেশের বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষের মধ্যে সহযোগিতা
চুক্তি ও দুই দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে সহযোগিতা চুক্তি এবং আরব
আমিরাতের দুবাইতে বাংলাদেশ দূতাবাসের স্থায়ী ভবন নির্মাণে জমি বরাদ্দ
সংক্রান্ত প্রটোকল।
এ ছাড়া ১৮ই নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী আবুধাবিতে
বাংলাদেশ দূতাবাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মরত বাংলাদেশিদের ভোটার তালিকা
প্রণয়ন শুরু এবং স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণে নির্বাচন কমিশনের অনুষ্ঠান
উদ্বোধন করবেন।
দুবাইয়ের শাসক ছাড়াও আবুধাবির যুবরাজ ও সংযুক্ত আরব
আমিরাতের সশস্ত্রবাহিনীর ডেপুটি সুপ্রিম কমান্ডার শেখ মুহাম্মদ বিন জায়ের
আল নাহিয়ান ও ফ্যামিলি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সুপ্রিম চেয়ারউইমেন শেখ
ফাতিমা বিনতে মোবারকের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। এ ছাড়া
আমিরাতের বড় বিনিয়োগকারী গ্রুপ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও বৈঠকের কথা রয়েছে।