যতটুকু স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে তার মধ্যেও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ হিসেবে হিজড়ারা স্বীকৃতি পেলেও সাংবিধানিকভাবে পূর্ণতা পায়নি। ব্যাংক ঋণ দেওয়ার বিধান থাকলেও তাঁরা ঋণ সুবিধা পাচ্ছে না। তাই প্রতিবন্ধী কল্যাণ তহবিলের মতো হিজড়াদের একটি কল্যাণ তহবিল থাকা প্রয়োজন।
মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি (এফপিএবি) আয়োজনে হিজড়া জনগোষ্ঠীর প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার বিষয়ক একটি সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন এফপিএবির নির্বাহী পরিচালক খোন্দকার আসাদুজ্জামান। এ সময় ইউএসএআইডি, সেরাক-বাংলাদেশ, ব্রাক, পদ্মকুঁড়ি, বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, টিডিএইচ নেদারল্যান্ড, সুস্থ জীবন, লাইটহাউস, সাদাকালো, বাংলাদেশ সেক্স ওয়ার্কার নেটওয়ার্ক, অবয়ব ও বিডিএইচ নেপালের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রতিনিধিরা আরো বলেন, আমাদের দেশে হিজড়া জনগোষ্ঠী বেশ অবহেলিত। সরকার এই বিষয়ে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যা নিতান্তই অপ্রতুল। সরকার সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে কিছু হিজড়াকে প্রশিক্ষণ বা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলেও আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তাঁরা কর্মস্থলে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন না। আবার অনেক হিজড়া তাঁদের জন্য রাষ্ট্রের যে সুযোগ-সুবিধা আছে তা জানেনই না।