ঢাকা ১১ জুন:শুক্রবার বিকেলে ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের নেতৃত্বে বাবুল আক্তারের রাজধানীর বনশ্রীর মেরাদিয়ার বাসায় যান। সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে নিহত মাহমুদা খানম মিতুর স্বামী এসপি বাবুল আক্তারের রাজধানীর বনশ্রীর বাসা পরিদর্শন করেছেন কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতারা।
সে সময়ে নেতৃবৃন্দ বাবুল আক্তারের দুই সন্তান ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের খোঁজখবর নেন। বাবুল আক্তার কান্নায় ভেঙ্গে পরলে নেতৃবৃন্দ তাকে স্বান্তনা দেন। মরহুমার আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান ১৪ দলের নেতারা।
সে সময় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতিমন্ডলীর সদস্য নুরুর রহমান সেলিম, জাতীয় পার্টি জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, বাসদের আহবায়ক রেজাউর রশিদ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বাবুল আক্তার একজন সাহসী পুলিশ অফিসার। তার দক্ষতার জন্য তিনি প্রশংসিত হয়েছেন। কিন্তু তার স্ত্রীকে নির্মমভাবে সন্তানের সামনে কাপুরুষোচিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই।
মিতু হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতরা দ্রুত গ্রেফতার হবে এমন আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমরা চাই অবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। ইতোমধ্যে খুনিদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। অবশ্যই এই সাঁড়াশি অভিযান চালাতে হবে। যতদিন পর্যন্ত খুনিরা নির্মূল না হবে ততদিন অভিযান চালাতে হবে। এমনভাবে এই অভিযান পরিচালনা করতে হবে যাতে খুনিরা আতঙ্কিত হয়ে যায়।
গত রোববার সকাল সোয়া ৭টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর জিইসি মোড়ে মোটরসাইকেলে করে এসে তিন দুর্বৃত্ত পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রীকে গুলি ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করে পালিয়ে যায়। নিহত মাহমুদা খাতুন ওরফে মিতু আক্তার (৩২) এক পুত্র ও এক কন্যাসন্তানের জননী।