জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করেছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ এনে । সোমবার দায়ের করা ওই মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নির্বিচারে রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ, হত্যা, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগসহ কাঠামোবদ্ধ গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।

জাতিসংঘ বলে আসছে, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সেনা অভিযানে গণহত্যার উপাদান ছিল। এছাড়া কানাডা, নাইজেরিয়া, তুরস্ক ও ফ্রান্সসহ আরও কয়েকটি দেশ মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ করে আসছে।

বিশেষ করে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জোরালো বক্তব্য দিয়ে একাধিকবার রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে কথা বলেছেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম নেতা মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ।

এছাড়া বিশ^ ইসলামিক করপোরেশন (ওআইসি) সদস্যভুক্ত ৫৭টি দেশকে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করতে উৎসাহিত করেছিল। আর গাম্বিয়ার এই মামলা দিয়ে প্রথমবারের মতো মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কোনও মামলা হল।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এক প্রতিবেদনে এই মামলার বিষয়টি জানিয়ে বলা হয়েছে, ৪৬ পৃষ্ঠা সম্বলিত মামলার আবেদন এরইমধ্যে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে জমা দিয়েছে গাম্বিয়া।

কৃষিপ্রধান গাম্বিয়ার আইনমন্ত্রী আবুবকর তামবাদাউ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তার দেশের পক্ষ থেকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ৪ অক্টোবর গাম্বিয়ার আইনমন্ত্রী মিয়ানমারকে আইনের আওতায় আনতে নেদারল্যান্ডসে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

ইরাসমাস বিশ^বিদ্যালয়ে এক বক্তৃতায় আবুবকর তামবাদাউ বলেছিলেন, ‘আমরা মামলার সবরকম প্রস্তুতি নিয়েছি। আমি জানি, মিয়ানমারের নাগরিকরা কতটা অসহায় হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। কক্সবাজার পরিদর্শনকালে তাদের করুণ দশা শুনেছি। রোহিঙ্গাদের ওপর সংঘটিত অপরাধের জন্য মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক মহলের জবাবদিহি করতেই হবে।’

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে কথিত হামলার ধুয়ো তুলে রাখাইনে পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা চালায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে লাখ লাখ রোহিঙ্গা।

আগে থেকে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের নিয়ে এ সংখ্যা ছাড়িয়ে যায় ১২ লাখের বেশি। কক্সবাজারের উখিয়ায় বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে তারা আশ্রয় নিয়েছে।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031