সোমবার বিকালে তাকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। মাদকের সাথে সম্পৃক্ততা ও কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গণি মিয়াকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, মাদক ব্যবসায়ীদের মাদক বিক্রিতে বাধা না দেয়াসহ তার দায়িত্ব সম্পূর্ণরূপে পালন না করার অভিযোগ পাওয়া যায় ওসি শেখ গণি মিয়ার বিরুদ্ধে। এছাড়া মাদকবিরোধী অভিযানে তার ব্যর্থতার প্রমাণ পাওয়া যায়। সেই সাথে পুলিশ বাহিনীতে তার অধিনস্থ পুলিশ সদস্যদের অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখতে না পারার অভিযোগও পাওয়া যায় ওসির বিরুদ্ধে।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মাদকের সাথে সম্পৃক্ততা ও দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগে জীবননগর থানার ওসি শেখ গণি মিয়াকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সেইসাথে তার অধিনস্থ পুলিশ সদস্যরা মাদকের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগও পাওয়া যায়। এর দায় থানার ওসি এড়াতে পারে না। সেজন্য তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, মাদকের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত জেলার কোন পুলিশ সদস্যদেরই ছাড় দেয়া হবে না। শুধু মাদকই নয়, বরং পুলিশকে যেকোন অপরাধের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ পেলে প্রমাণ সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একই অভিযোগে গত রবিবার রাতে জীবননগর থানার সাহাপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সাহিদুজ্জামানকেও প্রত্যাহার করা হয়।