ঢাকা ১১ জুন : সম্প্রতি নাইজেরিয়ার ক্রিকেট ফেডারেশন তৈরি করেছে এমনই এক উদাহরণ। খেলায় হার-জিত থাকবেই। কোন দলই যেমন সব ম্যাচ হারবে না, আবার সব ম্যাচ জিতবে না সেটাও স্বাভাবিক। তবে এটাও ঠিক যে, পরাজিত দলের উপর কোচ-অধিনায়ক বরখাস্তের মতো ঘটনা নেমে আসে। কিন্তু একটি প্রতিযোগিতায় ব্যর্থ হলে কোনো খেলার পুরো দলকে বাতিল করে দেওয়ার নজির কিন্তু খেলার দুনিয়ায় খুব বেশি নেই।
আফ্রিকান ফুটবলের অন্যতম বড় শক্তি নাইজেরিয়ার খুব একটা পরিচিতি নেই ক্রিকেটে। ক্রিকেটে এখনো প্রাথমিক পর্যায়েই আছে দেশটি। ২০০৩ সালে আইসিসির সহযোগী সদস্য হওয়ার পর থেকেও বলার মতো তেমন কিছুই করতে পারেনি তারা।
সম্প্রতি জার্সি দ্বীপপুঞ্জে হয়ে যাওয়া ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লিগে পাঁচ দলের মধ্যে পঞ্চম হয়েছে নাইজেরিয়া। স্বাগতিক জার্সি ছাড়াও এ টুর্নামেন্টে আরও খেলেছে ভানুয়াতু, ওমান, গুয়েরেনসে ও তানজানিয়া। এই পারফরম্যান্স মেনে নিতে পারনি নাইজেরিয়ার ক্রিকেট ফেডারেশন। আবুজায় এক সংবাদ সম্মেলন করে তাই নাইজেরিয়ার ক্রিকেট ফেডারেশন প্রধান এমেকা ওনিয়েমা দেশের জাতীয় ক্রিকেট দলকে ‘বাতিল’ ঘোষণা করেন।
ওনিয়েমার দাবি, ‘সম্প্রতি নাইজেরিয়া ক্রিকেট দলের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। প্রস্তুতিও যথেষ্ট ভালো ছিল। খেলোয়াড়দের দৈনিক ভাতা বাড়ানো হয়েছে। এই প্রথমবারের মতো ক্রিকেট দলের প্রতিটি খেলোয়াড়কে ১০০ ডলার করে ভাতা দেওয়া হয়েছিল। এত কিছুর পরেও দলটি আমাদের জয় তো দূরের কথা সম্মানজনক ফলও এনে দিতে ব্যর্থ হয়েছে।’
নাইজেরিয়া জাতীয় ক্রিকেট দলের দায়িত্বে ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) থেকে পাঠানো শ্রীরাম রেগান্নাথান। এই ব্যর্থতার কোপ পড়েছে তাঁর ওপরও। বরখাস্ত হয়েছেন তিনিও। খুব শিগগিরই নাইজেরিয়া ক্রিকেটকে ঢেলে সাজানোর কথা বলেছেন ওনিয়েমা।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা নাইজেরিয়া ক্রিকেট দলের নতুন কোচিং স্টাফ ও খেলোয়াড়দের নাম খুব শিগগিরই ঘোষণা করব। এই দলে সেই খেলোয়াড়েরাই সুযোগ পাবে, দেশের ক্রিকেটের প্রতি যাদের দায়িত্ববোধ আছে। জাতীয় দলের জার্সির রংটাকে যারা মর্যাদা দিতে জানে।’