‘সড়ক দুর্ঘটনা, যানজটসহ পরিবহন নৈরাজ্য ঠেকাতে হলে আমাদের ইঞ্জিনিয়ারিং, এডুকেশন, এনফোর্সমেন্ট এবং এনভারনমেন্টের উপর গুরুত্ব দিতে হবে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, । এ চারটি মৌলিক বিষয়। পরিবহন সমস্যার সমাধানকল্পে এ চারটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, রাস্তা বানালেই শুধু হবে না, সঠিকভাবে বানানো হলো কিনা তাও দেখতে হবে। একই ভাবে আইন প্রণয়ন করলেই হবে না, আইন সম্পর্কে সবাইকে জানাতে হবে, সচেতন করতে হবে। আইন না মানলে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
টাকা খেয়ে ক্রুটিপূর্ণ গাড়ি ছেড়ে দেওয়া যাবে না।’ নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর হালিশহরে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডিআইজি বলেন, ‘আমার অবস্থা হয়েছে সিনেমার সেই মায়ের মতো, যিনি আদালতে বিচারকের চেয়ারে বসে ছেলের বিচার করেন বাধ্য হয়ে। পরে ব্যাখ্যা করে বলেন, আমি নিজে পরিবহন ব্যবসা সংক্রান্ত পরিবারের সন্তান। আমরা এক ভাই পরিবহন শ্রমিক রাজনীতির সাথে জড়িত, আরেক ভাই পরিবহন মালিক। আর আমি পুলিশ কর্মকর্তা। আমাকে তাই আপনাদের লোক ভাবতে পারেন। পরিবহন সংশ্লিষ্টদের সাথে আমার রক্তের সম্পর্ক। আমি আশ্বস্ত করছি, নতুন সড়ক আইন নিয়ে ভয়ের কিছু নেই।’
তিনি বলেন, ‘নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে নতুন আইন কার্যকর করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ আইনে একটি মামলাও আমরা দিইনি। এর কারণ হচ্ছে- আমরা সচেতনতা সৃষ্টির উপর গুরুত্ব দিচ্ছি। আইন বাস্তবায়নের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট পুলিশ, ড্রাইভার এবং মালিকদের সচেতন করছি। কারণ সচেতনতা সৃষ্টি না হলে এ আইনের অপব্যবহার হবে। আজকের এই সভার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনাদের সবার মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো। নতুন সড়ক পরিবহন আইন সম্পর্কে জানানো। আইন মেনে গাড়ি চালাতে উদ্বুদ্ধ করা। আপনারা সবাই আইন জেনে, মেনে চললে পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা আসবেই।’
পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনার সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম-সিলেট বিভাগের সভাপতি মৃনাল চৌধুরী, বাংলাদেশ আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন আহমদ, চট্টগ্রাম বন্দর ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি জহুর আহমদ চৌধুরী, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের (আঞ্চলিক কমিটি) সভাপতি মোঃ মুছা, চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম, চট্টগ্রাম জেলা ট্রাক-কভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ শফিকুর রহমান, জেলা প্রাইম শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ মাঈন উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, আন্তঃজেলা পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি চৌধুরী জাফর আহম্মেদ, চট্টগ্রাম বাস মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ্ এবং বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির মহাসচিব আবু মোজাফফর প্রমুখ। সভায় প্রশাসন, সাংবাদিক, পুলিশের বিভিন্ন স্তরের পদস্থ কর্মকর্তা, পরিবহন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।