আন্দোলনরতরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে অবস্থানরতদের বিকালের মধ্যে হল ত্যাগের নির্র্র্দেশ প্রত্যাখ্যান করেছেন । তারা ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বেলা সোয়া ৩টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল শেষে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে ভিসি অপসারণ মঞ্চ থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ও অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়। সমাবেশের সমাপনী বক্তব্যে আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র দর্শন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, ‘কোনও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে শিক্ষকরা আক্রমণ করেছেন এমন নজির নেই। গতকাল প্রক্টর ছিলেন। পুলিশ ছিল। শিক্ষকরাও ছিলেন।

সবার চোখের সামনে এই ঘটনা ঘটেছে।

তারা নীরব ভূমিকা পালন করেছে। তারা উল্টো উসকানি দিয়েছে। শিক্ষক সমতির সভাপতিও সেখানে ছিলেন। উপাচার্য নিরাপত্তার অজুহাত দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছেন। কিন্তু এই নিরাপত্তাহীনতা কে তৈরি করেছে? প্রশাসন করেছে। দুর্নীতিবাজ উপাচার্য ফারজানা করেছে। তাকে এই ক্যাম্পাসে কোনোভাবেই রাখা যাবে না। তাকে অপসারিত হতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প চলছে, সেই মহাপ্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য হলেও তাকে সরে যেতে হবে। এর আগে বেলা সাড়ে ৩টার মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

এর মধ্যে হল না ছাড়লে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বেলা ২টার দিকে হল প্রভোস্ট কমিটির বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি অধ্যাপক বশির আহমেদ এই তথ্য জানান। মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের জরুরি এক সভা শেষে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। প্রথমে বিকাল সাড়ে ৪টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশের কথা জানান ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বিকাল সাড়ে ৫টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়। এই নির্দেশের পর কিছু সাধারণ ছাত্র হল ছাড়লেও আন্দোলকারী ও ছাত্রলীগের কর্মীরা হলে অবস্থান নেন। প্রশাসনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিকাল থেকেই বিক্ষোভ শুরু হয়। রাতে হলের তালা ভেঙে আন্দোলনে যোগ দেন ছাত্রীরা।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031