ভারত আসিয়ানভুক্ত ১০টি দেশসহ আরো ৬টি দেশের মধ্যে অবাধ বাণিজ্য চুক্তি (রিজিওনাল কম্প্রিহেনশন ইকোনমিক পার্টনারশিপ) এ যোগ না দেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
গতকাল সোমবার থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে আসিয়ানের এই সংক্রান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তবে দেশের স্বার্থে কোন আপস করা হবে না বলে জানিয়েছেন ভারতের প্রদানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘সব ভারতীয় নাগরিকের পক্ষে যখন আমি এই চুক্তির মূল্যায়ন করি, আমি কোনও ইতিবাচক উত্তর পাইনি। না গান্ধিজির আদর্শ, না আমার নিজের বিবেক! কেউই চুক্তির পক্ষে মত দেয়নি। ফলে জাতীয় স্বার্থে কোনও আপস নয়।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চুক্তিটি নিয়ে বিরোধিতা করেছেন কংগ্রেস এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। তাদের উদ্বেগ, এর ফলে সস্তা চীনা পণ্যে বাজার সয়লাব হয়ে যাবে।
দিল্লি পারস্পরিক সুবিধাযুক্ত চুক্তি চেয়েছে, যাতে ভারতও উপকৃত হয়। এরমধ্যে রয়েছে বিভিন্ন দেশের বাজারে প্রবেশাধিকার ও শুল্কের মতো বিষয়গুলো।
তবে ভারতকে ছাড়াই একটি অস্থায়ী চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২০ সাল নাগাদ চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হতে পারে।
আমদানি বৃদ্ধি, বাণিজ্য ঘাটতি ও দেশীয় শিল্পকে বাঁচানোর মতো বিষয়গুলো নিয়েই বেশি উদ্বিগ্ন ভারত। সবচেয়ে সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের মর্যাদা না পাওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরে দিল্লি।
কংগ্রেসের প্রভাবশালী নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী চুক্তিটির বিরোধিতা করে জানিয়েছেন, ভারত ব্যাপক আর্থিক মন্দার মুখোমুখি। বিজেপির ছয় বছরের শাসনে ৯০ লাখ কর্মসংস্থান কমেছে। চুক্তিটি হলে বেকারত্ব আরো বৃদ্ধি পাবে।
উল্লেখ্য, রিজিওনাল কম্প্রেহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ হচ্ছে একগুচ্ছ চুক্তি। চুক্তির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বিশ্বের ১৬টি দেশ। আসিয়ানভুক্ত ১০টি দেশসহ চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ভারত। ভারত এবং ১৫টি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশের নেতারা সোমবার থাইল্যান্ডে ‘আরসিইপি’ তৈরির ক্ষেত্রে সাত বছরের আলোচনার সফল সমাপ্তি ঘোষণা করবেন, এমনটাই আশা করা হয়েছিল।