ভারত ড্রোন ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারির কাজে । সরকারি সূত্রে জানা গেছে, সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালান বন্ধ করতেই আকাশপথে নজরদারির এই পদক্ষেপ নিতে চলেছে। বিএসএফ’র এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আমাদের ড্রোন ব্যবহারের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে। এর ফলে যে সব অরক্ষিত অঞ্চল দিয়ে অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালানের ঘটনা ঘটে সেই সব জায়গায় নজরদারি চালানো সহজ হবে। বিএসএফ কর্তাটি আরো জানিয়েছেন, আকাশপথে নজরদারির ফলে সঠিক সময়ের চিত্র পাওয়া সহজ হবে। কন্ট্রোল রুম থেকে এই ড্রোন পরিচালনা করা হবে। বাংলাদেশ সীমান্তে আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন নজরদারি এবং সতর্ক করার ব্যবস্থা চালু হয়েছে। ফলে সীমান্তে চোরাচালানের বা অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে বিপদ সংকেত বেজে উঠবে।
ফলে বিএসএফ তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিতে তৎপরতা চালাতে পারবে। ইতিমধ্যে আসামের ধুবড়ি সীমান্তে এই ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে। বিএসএফ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী দিনে সব অরক্ষিত জায়গাগুলো দ্রুত সিল করে দেয়া হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ৫ রাজ্যে- পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয় ও মণিপুরের দীর্ঘ ৪০৯৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এদিকে ভারতের তিনটি সীমান্ত সুরক্ষার দিকে নজর রেখে সরকার বিএসএফ এবং ইন্দো টিবেটান বর্ডার ফোর্সের সদস্য সংখ্যা আরো বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মোট নতুন দশটি ব্যাটালিয়ন গড়ে তোলা হবে। প্রতি ব্যাটালিয়নের সদস্য সংখ্যা হবে এক হাজার করে। বিএসএফ পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সীমান্ত সুরক্ষার কাজে নিয়োজিত। আর ইন্দো টিবেটান বর্ডার ফোর্স চীন সীমান্ত সুরক্ষার কাজে নিযুক্ত। দুই বাহিনীর পক্ষ থেকেই নজরদারির জন্য আরো বাহিনী চেয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দুই বাহিনীকেই অতিরিক্ত ব্যাটালিয়ন তৈরিতে অনুমতি দিয়েছে।