ফ্রান্সিয়া জেমস প্লেবয় মডেল। ফলে এমনিতেই অনুমান করা যায় তার চালচলন কেমন হবে। হয়তো একটু সংক্ষিপ্ত পোশাকে উগ্রভাবে চলাফেরা করবেন এমনটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তারও মাত্রা অতিক্রম করেছেন তিনি। ফ্রান্সিয়া যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে সবচেয়ে অভিজাত এবং যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় সর্ববৃহৎ শপিং মল অ্যালেচুরা মলে গিয়ে হাজির। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। অবাক হওয়ার বিষয় হলো এ সময় তার শরীরে কোনো পোশাক ছিল না। তিনি ছিলেন পুরো নগ্ন।
তবে সেই নগ্ন শরীরে ছিল শুধু পেইন্ট। পেইন্ট ব্যবহার করে তিনি স্পাইডারম্যান সেজেছিলেন। এতে তার শরীরের প্রতিটি ভাঁজ, প্রতিটি অঙ্গ একেবারে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এতে ফ্রান্সিয়া জেমস লজ্জিত নন। তিনি বরং সোল্লাসে বিচরণ করেছেন ওই মলে। তাকে দেখা গেছে, বিভিন্ন দোকানে গিয়ে কথা বলতে। একটি শপিং মলে তাকে এ অবস্থায় দেখে অন্যদের তো চোখ ছানাবড়া। সবার তখন মুখ হা হয়ে আছে। তাতে ফ্রান্সিয়া জেমসের কিছু এসে যায় না। তাকে ওই শপিং মলে দেখা যায় একটি ওভারকোট গায়ে দিয়ে। একটি লিফটের মতো স্থানে তিনি সেটা পরে নেন। এরপর ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে তিনি চলা শুরু করেন। এক পর্যায়ে সেই ওভারকোটটি খুলে ফেলেন। ব্যাস, বেরিয়ে আসে
তার সৌন্দর্য্য, যে সৌন্দর্য্য একজন নারীর সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। তাই তিনি উন্মুক্ত করে দেন। তার দেহে তখন শুধু একটি থং আর পেইন্ট। সবাই এ অবস্থায় দেখে নিলো তাকে। কি ক্রেতা, কি দোকানি, কি নারী, কি পুরুষ- সবাই তাকে দেখলেন। এ নিয়ে আবার প্রতিক্রিয়াও দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, আমাকে এভাবে দেখে মানুষ হতাশ হয়েছে। সৌভাগ্য যে, আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। ফ্রান্সিয়া জেমসের বাড়ি কলাম্বিয়া। কিন্তু বর্তমানে বসবাস করেন ফ্লোরিডার মিয়ামিতে। সম্প্রতি তাকে নিয়ে সংবাদ শিরোনাম করা হয়। তাকে দেখা যায় একজন পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে স্কিট করছেন। এর ফলে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে তার পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে ফ্রান্সিয়া জেমসের অনুসারী কমপক্ষে ২৯ লাখ। সেখানে তিনি তার রগরগে ছবি পোস্ট করেন ভক্তদের জন্য।