ইলিশ শিকার দীর্ঘ ২২ দিন মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা শেষে বুধবার রাত থেকে শুরু হচ্ছে । আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে বাজারে মিলবে ইলিশ। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় ইতোমধ্যে সাগরে মাছ শিকারের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন উপকূলের জেলেরা। মাছ কেনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন মৎস্যঘাটগুলোর আড়তদাররাও।
ভোলার বিভিন্ন মাছঘাট এলাকায় গিয়ে জেলেদের মাছ ধরার প্রস্তুতি নিতে দেখা যায়। সরেজমিনে জেলেদের কাউকে নৌকা মেরামত করতে ও কাউকে জাল ঠিক করার কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়।
রাত ১২ বাজলেই নদীতে মাছ শিকারে বের হবেন এমন খবরে তাদের অনেকের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা যায়।
ভোলার তুলাতুলি ঘাটের জেলে ইউছুফ জানান, ২২দিন সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমরা নদীতে যাইনি। এখন অভিযান শেষে হচ্ছে। তাই জাল-নৌকা নিয়ে নদীতে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
সেখানে থাকা আরেক জেলে জানান, সরকার আইন করায় আমরা ২২ দিন মাছ ধরিনি। এখন অভিযান শেষ তাই মাছ ধরতে যাবো। আশা করি যে মাছ পাব তা দিয়ে সংসার চালিয়ে দেনা পরিশোধ করতে পারব।
জানা যায়, এ বছর মা ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞার সময় সরকারের পক্ষ থেকে ৩৫ জেলার ১৪৭টি উপজেলায় চার লাখ আট হাজার ৩২৯টি জেলে পরিবারকে ২০ কেজি হারে আট হাজার ১৬৭ টন খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়। এছাড়া জাটকা ধরা নিষিদ্ধকালীন আট মাস দেশের ১৭ জেলার ৮৫টি উপজেলায় জাটকা আহরণে বিরত দুই লাখ ৪৮ হাজার ৬৭৪টি জেলে পরিবারকে দেওয়া হয় ৪০ কেজি হারে চার মাসের জন্য প্রায় ৩৯ হাজার ৭৮৮ টন ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা।
গত কয়েক বছরে দেশের সর্বত্র নির্দিষ্ট সময়ে ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার সুফল মিলেছে ইলিশের উৎপাদনে। নিষেধাজ্ঞার বাইরের সময়ে ইলিশ আহরণ বেড়ে যাওয়ায় জেলেদের পাশাপাশি লাভবান হচ্ছে সাধারণ ক্রেতারাও।