স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বুয়েট শিক্ষার্থী এএসএম নাজমুস সাদাত ।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. সারাফুজ্জামান আনছারীর কাছে তিনি এই জবানবন্দি দেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান তাকে আদালতে হাজির করে জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন।

মামলাটিতে গত ১৬ অক্টোবর নাজমুস সাদাতের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। ওই রিমান্ড শেষে তিনি স্বীকারোক্তি দিলেন।

গত ১৬ অক্টোবর রিমান্ড শুনানিকালে নাজমুস সাদাত বিচারকের জিজ্ঞাসায় বলেছিলেন, তিনি বড় ভাইদের কথায় আবরারকে রুম থেকে ডেকে নিয়ে যান। তিনি আবরারকে মারেননি। বড়ভাই কারা বিচারকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, অনিক, সকাল, মুজাহিদ ও রবিন মনির এবং তারাই আবরারকে মারে।

সাদাত বুয়েটের ম্যাকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি জয়পুরহাট সদর থানার কড়ই উত্তরপাড়ার মো. হাফিজুর রহমানের ছেলে।

এনিয়ে মামলাটিতে আটজন শিক্ষার্থী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন। অপর সাতজন হলেন, বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা অনিক সরকার, ইফতি মোশাররেফ সকাল, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মেহেদী হাসান রবিন, মনিরুজ্জামান মনির, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর ও শিক্ষার্থী মুজাহিদুর রহমান। 

বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড শেষে কারাগারে গেছেন, বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ, আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা, কর্মী মুনতাসির আল জেমি, গ্রন্থ ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইসাতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, শিক্ষার্থী সামছুল আরেফিন রাফাত, আকাশ হোসেন, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, মিজানুর রহমান, শামীম বিল্লাহ ও মুয়াজ ওরফে আবু হুরায়রা। তারা সবাই এখন সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত।

একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে গত ৬ অক্টোবর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করে বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র আবরার ফাহাদকে। ঘটনাটি দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করে। আবরারের বাবার দায়ের করা মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়। তাদের প্রায় সবাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031