দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কারা অধিদপ্তরের ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশীদকে গ্রেপ্তার করেছে । কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ঘুষের কোটি টাকা লেনদেন ও অবৈধ সম্পদের রহস্য উন্মোচনে বজলুর রশীদ ও তার স্ত্রীকে রোববার সকাল থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
জিজ্ঞাসাবাদে তাদের বিরুদ্ধে কুরিয়ার সার্ভিসে মাধ্যমে অবৈধ লেনদের তথ্যের সত্যতা পায় সংস্থাটি। এ সময় দুদক কার্যালয় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুদক সুত্র জানায়, বজলুর রশীদ ও তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। দুদকের পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফের নেতৃত্বে একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। দুদকের কাছে অভিযোগ ছিল, ঘুষের কোটি কোটি টাকা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আসতো রশীদের কাছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাঠানো এসব টাকা তুলেছেন তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহার। সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ কারাগারের একজন কর্মকর্তার স্ত্রীর কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা নেন রাজ্জাকুন নাহার। ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশীদের সমমর্যাদার আরেক কর্মকর্তার স্ত্রীর কাছ থেকে দুই দফায় নিয়েছেন ৬ লাখ টাকা।
এছাড়া ঢাকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা একজন কারারক্ষীর কাছ থেকে নিয়োগ-বাণিজ্যের ৫৮ লাখ টাকা নিয়ে গেছেন বজলুর রশীদ নিজেই। আরেক কারা রক্ষীর কাছ থেকে নেয়া হয়েছে ৩৮ লাখ টাকা।
অভিযোগ রয়েছে, কারা সদর দপ্তরে ডিআইজি পদে থাকায় বজলুর রশীদ সারা দেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে চাঁদার নামে নির্ধারিত রেটে ঘুষ নিয়ে থাকেন। এই টাকা যেত কুমিল্লার তৌহিদ নামের এক ব্যক্তির কাছে। তিনি তা পাঠাতেন বজলুল রশিদের স্ত্রীর কাছে। কুমিল্লা থেকে তৌহিদ হোসেন মিঠুর পাঠানো টাকা এসএ পরিবহনের কাকরাইলের প্রধান অফিস থেকে শুধু মোবাইলে মালিকানা নিশ্চিত করে তুলে নেয়া হয়।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | 2 | 3 | 4 | 5 | ||
6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11 | 12 |
13 | 14 | 15 | 16 | 17 | 18 | 19 |
20 | 21 | 22 | 23 | 24 | 25 | 26 |
27 | 28 | 29 | 30 | 31 |