কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে রাজশাহীর বাগমারায় তামান্না আক্তার টিয়া (১৭) নামের । গত শুক্রবার রাতে নাটোরের সরকুতিয়া দক্ষিণপাড়ার একটি আম বাগানে এ ঘটনা ঘটে। তামান্না রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের সমষপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে। সে সাধনপুর স্কুল এন্ড কলেজ এর একাদশ শ্রেণির ছাত্রী বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিহত টিয়ার বাড়ি থেকে ৫শ’ গজ দূরে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার সরকুতিয়া দক্ষিণ পাড়ার একটি আমবাগানে তামান্নার লাশ ঝুলছিল। সকালে এলাকাবাসী লাশ দেখে স্থানীয় নলডাঙ্গা থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। তামান্নার বাবা আব্দুর রশিদ বলেন, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে নাটোরের নলডাঙ্গার সাধনপুরের খিদিরপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে শান্ত ইসলাম (২১) বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে তার মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়।
সকালে ঝুলন্ত অবস্থায় টিয়ার লাশ ঝুলতে দেখে স্থানীয়রা তার বাড়িতে খবর দেয়।
বিষয়টি
শোনার পর এলাকার লোকজন টিয়াকে দেখতে ভিড় জমায়। মেয়ের মা নিলুফা
সাংবাদিকদের বলেন, টিয়া ও শান্ত একই কলেজে পড়তো। কলেজে গেলে শান্ত মাঝে
মাধ্যে টিয়াকে ইভটিজিং করতো।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে নলডাঙ্গা থানার পুলিশ
পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) উজ্জল হোসেন বলেন, ঝুলন্ত অবস্থায় লাশের পা
সম্পূর্ণ মাটিতে ছিলো এবং লাশ নামানোর সময় সাহায্যকারী স্থানীয় মহিলারা
নিহতের যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায় বলে আমাদের কাছে অভিযোগ করে। তবে
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশের
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। তিনি আরও বলেন, এ
ঘটনায় থানায় এখনো মামলা দায়ের হয়নি। মামলা হলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত
ব্যবস্থা নেয়া হবে।