জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রামে এ ভবনসহ ৫০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয় ফিরিঙ্গীবাজার খালের পাড় থেকে। গতকাল সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত নগরীর ফিরিঙ্গীবাজার এলাকায় মেট্রোপলিটন স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাইফুল আলমের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। এবার ১০ তলা ভবনে হাত দিল সিডিএ এবং সেনাবাহিনী পরিচালিত অভিযান দল।
এ সময় সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় একটি ১০ তলা, দুটি ৬ তলা, একটি ৫ তলা, দুটি ৩ তলা ভবনসহ পাকা, কাঁচা-পাকা ও টিনশেডসহ ৫০টি অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আহমেদ মাঈনুদ্দিন জানান, সকাল থেকে অবৈধ স্থাপনার উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। এতে ১০ তলা ভবনসহ প্রায় ৫০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সিডিএর সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এরপর সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর খালের উভয় পাশে রিটেইনিং ওয়াল, রাস্তা নির্মাণ ও নিচু ব্রিজগুলো ভেঙে উঁচু করার কাজ শুরু করে। পাশাপাশি খাল থেকে ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রমও শুরু হয়। ডিপিপি অনুযায়ী গৃহীত এ মেগাপ্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তিন বছর মেয়াদী এ প্রকল্পে প্রাথমিক পর্যায়ে ২০১৮ সালে ৩৬ খালের মাটি অপসারণসহ ৩০০ কিলোমিটার নতুন ড্রেন নির্মাণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ১০০ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, ২০২০ সালের মধ্যে নগরে ৩৬টি খাল খনন, খালের পাশে ১৭৬ কিলোমিটার প্রতিরোধক দেয়াল, ৮৫ কিলোমিটার সড়ক, ৪২টি সিল্ট ট্র্যাপ নানা অবকাঠামো নির্মাণ করার কথা রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে উচ্ছেদ কার্যক্রম চলছে।