সিলেটের ওসি আকতার হোসেনের বিরুদ্ধে টাকার প্রলোভনে মেধাবী শিক্ষার্থীকে তুহিন হত্যাকাণ্ডে জড়িত করে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে । ওই শিক্ষার্থীর মা রাসনা বেগম গতকাল দুপুরে সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। পাশাপাশি তার মেধাবী ছেলের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নষ্ট করার জন্যও তিনি ওসি আকতারকে দায়ী করেন । মোগলাবাজার থানাধীন রেঙ্গা আশুগঞ্জবাজারের মির্জানগর গ্রামের মানসিক রোগী দুলু মিয়ার স্ত্রী রাসনা বেগম বলেন, গত ২৪শে জুলাই সিলেট সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ছাত্র তুহিন হত্যাকাণ্ডের পর যে মামলা করা হয় ওই মামলায় টিটিসির দশম শ্রেণির মেধা তালিকার প্রথম নম্বর ছাত্র আমার ছেলে সায়েম আহমদ সুমনকে ৯ নম্বর আসামি করা হয়েছে। অথচ আমার ছেলে সেদিন টিটিসিতে উপস্থিত ছিল না। তার পিতার অসুস্থতার কারণে সে কয়েকদিন আগ থেকেই নিজের বাড়িতে ছিল। প্রকৃত সত্য হচ্ছে- সেদিন ক্লাসে উপস্থিত ছিল সাঈম আহমদ। তিনি বলেন, মামলার বাদী মো. নাজিম উদ্দিন ও সাঈম আহমদের পিতা পল্লীবিদ্যুতের কর্মকর্তা আব্দুল মোতালিবের প্ররোচনায় ওসি আকতার হোসেন অবৈধ অর্থের বিনিময়ে সাঈম আহমদের পরিবর্তে আমার ছেলে সায়েম আহমদ সুমনকে আসামি করেছেন। ছেলের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে আমি সেদিনই তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে টিটিসির অধ্যক্ষের মাধ্যমে মোগলাবাজার থানার ওসির কাছে লিখিত আবেদন করি। তিনি আমার আবেদনকে পাত্তা না দিয়ে সুমনকে পুলিশে হস্তান্তর করতে বলেন। ছেলেকে রক্ষা করতে আমি অধ্যক্ষের কাছে আবেদন করলে তিনি ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটি তদন্ত করে  ২৬শে জুলাই যে রিপোর্ট দিয়েছেন তাতে পরিস্কার উল্লেখ করা হয়েছে যে সায়েম ঘটনার দিনতো বটে, এর আগে ১৭ই জুলাই থেকেই ক্লাসে অনুপস্থিত ছিল। ভিডিও ফুটেজেও তাকে কোথাও দেখা যায়নি বলে তদন্ত কমিটি উল্লেখ করেছে। এরপর টিটিসির অধ্যক্ষ ওয়ালিউল্লা মোল্লা মোগলাবাজার থানার ওসি আকতার হোসেন বরাবর প্রতিবেদন প্রদান করেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন ‘তানভির আহমদ তুহিন হত্যাকাণ্ডের মামলা থেকে সায়েম আহমদ সুমনকে অব্যাহতি প্রদান করার জন্য। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ওসি আকতার হোসেন এই মামলাকে পুঁজি করে টাকা কামানোর ধান্ধা করছেন। সিসিটিভি ফুটেজ ও বা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের তদন্ত প্রতিবেদনকে পাত্তা দিচ্ছেন না ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার আশায়। আমার নিরপরাধ ছেলের ভবিষ্যৎ নষ্ট করতে তিনি সদা তৎপর। দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি আর টাকার নেশায় তিনি এখন অন্ধ। সব শেষে তিনি ওসি আকতারের মুখোশ উন্মোচন করতে সাংবাদিক তথা সমাজের সচেতন মানুষের সাহায্য চেয়েছেন। পাশাপাশি তিনি প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার তার ছেলে সায়েম আহমদ সুমনকে পুলিশি হয়রানি ও মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত হওয়ার ও প্রতিটি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়ার দাবি এবং ওসি আকতারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031