মায়ের সঙ্গে ভগ্নিপতির অনৈতিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় শিশু সন্তানকে আপেলের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে পাষণ্ড মা রূপগঞ্জে । এ ঘটনায় পুলিশ সেই মা ও ভগ্নিপতিকে গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার সকালে উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার কাঞ্চন এলাকায় ঘটে এই ঘটনা। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ভোলাব পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) শফিকুল ইসলাম জানান, কাঞ্চন পৌরসভার রানীপুরা এলাকার আতিকুর রহমানের স্ত্রী স্বামীর অমতে মেয়ে খাদিজা আক্তার রত্নাকে গাইবান্ধার সদর থানাধীন ভেড়াডাঙ্গা এলাকার ভবেশ বর্মণের ছেলে নও-মুসলিম সঞ্জয় বর্মণ বর্তমান নাম আব্দুল্লাহর (২৫) সঙ্গে ৭ মাস পূর্বে বিবাহ দেন। বিয়ের পর আব্দুল্লাহ তার স্ত্রী খাদিজাকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করে আসছিল। বর্তমানে খাদিজা ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এদিকে ২ মাস আগ থেকে আব্দুল্লাহর সঙ্গে তার শাশুড়ি নুরজাহান বেগম (৪২) এর অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ নিয়ে শাশুড়ি নুরজাহানের সঙ্গে শ্বশুর আতিকুরের ঝগড়া বাধে।
গত বৃহস্পতিবার মা নুরজাহানকে ভগ্নিপতি আব্দুল্লাহর সঙ্গে আপত্তিজনক অবস্থায় অনৈতিক কর্মকাণ্ড করার সময় দেখে ফেলে ছেলে সাদিকুল ইসলাম (৯)। পরে ছেলে সাদিকুল এ ব্যাপারে কাউকে কিছু না জানিয়ে তার শিক্ষালয় স্থানীয় রত্নগর্ভা রাহতুন্নেছা দায়েমউদ্দিন সুন্নি হিফজুল কোরআন মাদ্রাসায় চলে আসে। এদিকে মেয়ের জামাতার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের ঘটনা ধামাচাপা দিতে সোমবার সন্ধ্যায় মা নুরজাহান ছেলেকে দেখতে যান মাদ্রাসায়। তখন মাদ্রাসার শিক্ষক মোখলেছুর রহমানের সামনে ৫টি আপেল ও একটি আম সাদিকুলকে দিয়ে আসেন। এথেকে ৪টি আপেল ও একটি আম খেয়ে ফেলে সে। মঙ্গলবার রাতে অবশিষ্ট আপেলটি খেতে গিয়ে সাদিকুল দেখে যে তা থেকে বাজে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। এ সময় সে শিক্ষক মোখলেছুর রহমানকে জানালে তিনি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও পিতা আতিকুরকে জানান। আতিকুর রহমান স্থানীয় কাউন্সিলর জামাল হোসেনকে জানালে তিনি বুধবার সকালে রানীপুরা থেকে মা নুরজাহান ও ভগ্নিপতি আব্দুল্লাহকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে পরকীয়ার সম্পর্কটি ধামাচাপা দিতে তারা পরস্পর যোগসাজশে আপেলে বিষ মিশিয়ে শিশু সাদিকুলকে খাইয়ে হত্যার পরিকল্পনা করে। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান বলেন, ঘটনাটি খুবই জঘন্যতম। পুলিশ পাষণ্ড মা ভগ্নিপতিকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ব্যাপারে শিশুটির পিতা বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন।