কেন এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত তাসলিমা বেগম রেনুর পরিবারকে, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। গতকাল বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। সন্তানকে স্কুলে ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে খোঁজখবর নিতে গিয়ে গত ২০শে জুলাই ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হন রেনু।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। আইনজীবী ইশরাত বলেন, প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত তার পরিবারকে অর্থাৎ, বাবা আব্দুল মান্নান ও মা সবুরা খাতুনকে কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রশ্নে রুল জারি করেছেন।
এ বিষয়ে সোমবার হাইকোর্টের একই বেঞ্চ গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনুসহ যারা নিহত হয়েছেন, তাদের রক্ষা করতে না পারাকে কেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা বলে ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। সেই সঙ্গে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চান আদালত।
এর আগে গণপিটুনিতে রেনু নিহত হওয়ার ঘটনায় তার পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চাওয়ার নির্দেশনা চেয়ে নিহতের বোন নাজমুন নাহার নাজমা ও ভাতিজা সৈয়দ নাছির উদ্দিন এ রিট করেন।
রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন। গত ২০শে জুলাই মেয়েকে ভর্তি করানোর তথ্য জানতে রাজধানীর উত্তর পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান তাসলিমা বেগম রেনু (৪০)। এসময় ছেলেধরা সন্দেহে তাকে প্রধান শিক্ষকের রুম থেকে টেনে বের করে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে একদল জনতা।