ত্রিপলিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ সিকান্দার আলী ভূমধ্যসাগরের ফের অভিবাসী-বোঝাই নৌকাডুবিতে হতাহতের তালিকায় কোন বাংলাদেশি নেই বলে জানিয়েছেন। রাত ১টার দিকে মানবজমিনকে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, লিবিয়ার কোস্টগার্ড, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থাসহ স্থানীয় কতৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগে তারা এ তথ্য পেয়েছেন যে, মঙ্গলবারের ওই ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫টি মরদেহ এবং ৬৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে। এদের মধ্যে কোন বাংলাদেশি নেই। জীবিতদের দেয়া তথ্যের বরাতে কোস্টগার্ড ধারণা পেয়েছে, নৌকাটিতে প্রায় ৯০ জন অভিবাসী ছিলেন। লিবিয়ার কোস্টগার্ড ও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থাকে উদ্ধৃত করে মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) আগে জানিয়েছিল, লিবিয়া থেকে ইউরোপ অভিমুখে নৌকা যাত্রার ওই ঘটনায় অন্তত ৪০ জন অভিবাসী নিহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে আশঙ্কা করছেন তারা। রাষ্ট্রদূত বলেন, এখন তারা মোটামুটি নিশ্চিত যে, ৪০ জন নয়, ২৫ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ৫ জনের লাশ পাওয়া গেছে।

২০ জন এখনও নিখোঁজ।
আইয়ুব গাসিম নামের
লিবিয়া কোস্টগার্ডের এক মুখপাত্র এপি’কে বলেছিলেন, একশিশুসহ অন্তত পাঁচজনের মরদেহ তারা উদ্ধার করতে পেরেছেন। নিখোঁজ বাকীদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ত্রিপোলি থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর খোমস থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
মুখপাত্র জানান, যে ৬৫ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করা গেছে তাদের বেশিরভাগই সুদানের নাগরিক। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতও এক ইমেইল বার্তায় জানান, জীবিতদের মধ্যে ৫৬ জন সুদানের বলে তারা তথ্য পেয়েছেন। ৫ লাশের মধ্যে ৩ জন মরক্কোর নাগরিক, একজন সোমালিয়ান এবং একজন সুদানের নাগরিক।
অ্যালার্ম ফোন নামের একটি সহায়তাকারী সংস্থা এপি’কে জানিয়েছে, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে যাওয়া ওই নৌকা ডুবে যাওয়া আগে এক অভিবাসী ফোনে জানিয়েছেন, পরিস্থিতি ভয়াবহ। লোকজন কাঁদছে ও চিৎকার করছে। অনেক মানুষ মারা গেছে।

লিবিয়ার কোস্টগার্ড জানিয়েছে, আগস্টে এ পর্যন্ত কয়েকশ অভিবাসীকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে।

আফ্রিকার অভিবাসী ও শরণার্থীদের ইউরোপ পাড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রে লিবিয়া ট্রানজিট রুটে পরিণত হয়েছে। ২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর দেশটিতে চলা গৃহযুদ্ধের সুযোগে মানবপাচারকারীরা লিবিয়া থেকে ইউরোপে নৌকা ও জাহাজে অভিবাসীদের পাচার করছে।

Share Now
December 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031