পুলিশ শিশু যৌন নির্যাতনের অভিযোগে নগরীতে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে । গতকাল সকালে পাহাড়তলী থানার ফইল্ল্যাতলী বাজার এলাকার ওই শিক্ষককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর। গ্রেপ্তার শিক্ষক মো. হাবিব উল্লাহ (২৭) সন্দ্বীপের হরিশপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। ফইল্ল্যাতলী বাজারের কাছে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে ‘আল্লামা ইদ্রিস সন্দ্বীপী হেফজ আবাসিক মাদ্রাসা’ চালান তিনি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ১১ নম্বর কাট্টলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোর্শেদ আক্তার চৌধুরী বলেন, ফইল্ল্যাতলী ছদু চৌধুরী রোডের চৌধুরী আবাসিক এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে ১০-১২ জন শিশুকে কোরান শিক্ষা দেন হাবিব উল্লাহ। শনিবার সকালে শাপলা আবাসিক এলাকার এক ব্যক্তি আমার কাছে আসেন। তার ছেলেকে গত বৃহস্পতিবার শিক্ষক হাবিব উল্লাহ বলাৎকার করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। বিষয়টি আমি ওই ছাত্রের মুখ থেকে শুনে পুলিশকে খবর দিই। পরে পুলিশ আসলে হাবিব উল্লাহকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি।
পাহাড়তলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাসান ইমাম জানান, ১১ বছর বয়েসী ওই শিশু বৃহস্পতিবার ছুটিতে বাসায় গিয়েছিল। পরদিন সকালে তাকে মাদ্রাসায় যেতে বললে সে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। এসময় চাপাচাপিতে পরে ছেলেটি তার মাকে বিষয়টি জানায়। বিষয়টি মার কাছে থেকে শুনে শিশুটির বাবা সকালে স্থানীয় কাউন্সিলরকে অভিযোগ করেন। পরে কাউন্সিলর থানায় খবর দেন।
জিজ্ঞাসাবাদে মাদ্রাসা শিক্ষক হাবিব উল্লাহ বলাৎকারের বিষয়টি স্বীকার করেছে জানিয়ে পুলিশ পরিদর্শক হাসান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে হাবিব জানিয়েছেন কোরবানির ঈদের আগের দিনও ১২ বছর বয়েসী এক শিশুকে বলাৎকার করেছেন তিনি। তবে ওই শিশুটি ভয়ে তা প্রকাশ করেনি। বৃহস্পতিবারের ঘটনাটি জানাজানি হলে আগের বিষয়টিও প্রকাশ পায়। হাবিব উল্লাহর বিরুদ্ধে শিশু যৌন হয়রানির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।