গত দুই সপ্তাহ ধরে বন্ধ। কারণ চট্টগ্রাম ওয়াসার পাইপ লাইনের কাজ চলছে জামালখান মোড় থেকে গণি বেকারি মোড় পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক । দিনরাত কাজ করে কুলানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আরিফুল ইসলাম। তবে আগামী ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ কাজ সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এদিকে চন্দনপুরা মসজিদ লাগোয়া ব্রিজের অর্ধেক (রাস্তার অর্ধেক অংশ) ভাঙা হয়েছে নতুন করে নির্মাণের জন্য। কাজ চলছে ধীরলয়ে। এর ফলে দুই লাইনের যানবাহনকে চলতে হচ্ছে এক লাইনেই। দিনের অধিকাংশ সময় চকবাজার থেকে আন্দরকিল্লা সড়কে যানজট লেগেই আছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ব্রিজ নির্মাণের কাজ করছে সেখানে। জেএমসেন হল থেকে গুডস হিলের মোড় পর্যন্ত রাস্তাটিও দু’দিক থেকে বন্ধ। ফলে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এসব সড়কে গাড়ির চাকা থমকে দাঁড়ায় দিনের বেশিরভাগ সময়। ভোগান্তি হচ্ছে মানুষের। ফলে চকবাজার, জামালখান, আন্দরকিল্লা ও চেরাগি পাহাড় এলাকা দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের যাত্রীদের দুঃখের শেষ হচ্ছে না। এ অবস্থা থেকে দ্রুত উত্তরণের জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জামালখান মোড় থেকে গনি বেকারি মোড় পর্যন্ত এ সড়কের পুরো অংশেই কাজ চলছে ওয়াসার পাইপ লাইন স্থাপনের। এর মধ্যে আইডিয়াল স্কুলের সামনে রাস্তা কাটা হয়েছে একেবারে আড়াআড়িভাবে। কোরবানির ঈদের তিনদিন আগ থেকে শুরু করা কাজ এখন পর্যন্ত সম্পন্ন হয়নি। এ রাস্তা ব্যবহারকারী সেন্ট মেরিন স্কুল, আইডিয়াল স্কুল, শাহ ওয়ালি উল্লাহ ইনস্টিটিউট ও এজি চার্চ স্কুলসহ আরো কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চরম ভোগান্তি হচ্ছে। তাছাড়া চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজের শিক্ষার্থীরাও অধিকাংশক্ষেত্রে এ রাস্তা ব্যবহার করে যাতায়াতের সময়। এ বিষয়ে ওয়াসার প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আরিফুল ইসলাম জানান, আইডিয়াল স্কুলের সামনে থাকা কালভার্টের নীচে বড় দুইটি পাইপ ঢুকাতে হচ্ছে। কাজ করতে হচ্ছে অনেক নীচে গিয়ে। এসময় আবার শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়েছে।
তিনি আরো জানান, নরমাল পাইপ বসানোর ক্ষেত্রে আমরা স্বাভাবিকভাবে আড়াই মিটার পর্যন্ত রাস্তা কাটি। এখানে ৫/৬ মিটার পর্যন্ত কাটতে হচ্ছে। আমরা রাতদিন কাজ চালাচ্ছি। আগামী ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে চন্দনপুরা মসজিদ সংলগ্ন ব্রিজের একাংশও ভাঙ্গা হয়েছে দুই সপ্তাহ হয়ে গেল। এ ব্রিজের কারণে রাস্তার এক সাইড বন্ধ হয়ে গেছে। অন্য সাইড দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে দুইদিকের যানবাহনগুলোকে। এতে যান চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দিনরাত যানজট এখানকার নিত্যসঙ্গী। এ অবস্থা থেকে দ্রুত উত্তরণের জন্য ব্রিজের কাজ সহসা শেষ করার দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী টমটমের চালক মোহাম্মদ রফিক জানান, শ্রমিক আরো বেশি লাগিয়ে ব্রিজের কাজ আরো দ্রুত করা দরকার। এতে মানুষের ভোগান্তি কমবে।