যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যায় জড়িত দুই রোহিঙ্গা নাগরিক পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন টেকনাফে । এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তিন পুলিশ সদস্য। শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে জাদীমুরা পাহাড়ের পাদদেশে যুবলীগ নেতা হত্যায় অভিযুক্ত রোহিঙ্গা আসামিদের ধরতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, জাদীমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ছবির রহমানের ছেলে মো. শাহ (৩৮) ও বালুখালী ক্যাম্পের আবদুল আজিজের ছেলে আবদুস শুক্কুর (২৫)। আহতরা হলেন, উপপুলিশ পরিদর্শক মনজুর, সহকারি উপপুলিশ পরিদর্শক মো. জামাল ও কনস্টেবল লিটন।
পুলিশ জানায়, যুবলীগ নেতা হত্যার আসামিরা জাদীমুরা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান করছে- এমন খবরের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে অভিযানে যায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। ওই সময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুঁড়তে থাকে।
একপর্যায়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা পিছু হঠলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হত্যা মামলায় জড়িত দু’জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ২টি এলজি, তাজা কার্তুজ ও খালি খোসা জব্দ করা হয়।
গুলিবিদ্ধ দুই রোহিঙ্গাকে প্রথমে টেকনাফ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত্যু ঘোষণা করেন।
টেকনাফ থানা ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।