আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন এবং সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন বিশ্বে মিয়ানমারেরও শক্তিশালী বন্ধু থাকার বিষয়টি মাথায় রেখে রোহিঙ্গাদের ফেরাতে সরকার কৌশলী অবস্থান নিয়েছে বলে ।
তিনি বলেন, মিয়ানমার সরকার সেখানে পরিবেশ সৃষ্টি করেনি, নিরাপত্তা সৃষ্টি করেনি, সিটিজেনশিপের মতো বিষয়টি সুরাহা করতে পারেনি; এজন্য তাদের বিশ্বাস করতে পারেনি রোহিঙ্গারা। এর দায় মিয়ানমার সরকারকে নিতে হবে। আজ ঢাকার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনষ্টিটিউটশন মিলনায়তেনে বিআরটিসি শ্রমিক-কর্মচারী লীগের আয়োজনে শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা যুদ্ধের পথে যাব না, আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখব। সেই কৌশলে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। এখানকার সমস্যাটা জটিল। এই জটিলতার মধ্যে যুদ্ধ পরিহার করে ঠান্ডা মাথায় আলাপ-আলোচনা করে এর সমাধান করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের মনে রাখতে হবে, মিয়ানমারেরও বন্ধু আছে এবং শক্তিশালী বন্ধু আছে। রোহিঙ্গা ফেরত পাঠাতে না পারা কূটনৈতিক ব্যর্থতা নয় বলে তিনি দাবি করেন।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে এসময় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান, বিআরটিসির চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ভুইয়া ও জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ প্রমুখ।