গান গেয়ে গেয়ে অর্থ উপার্জন করতেন। ভারতের রানাঘাট স্টেশনে তিনি পাগলের মতো ঘুরে বেড়াতেন।কণ্ঠ তার ঐশ্বরিক। রানাঘাটের সেই রানু মন্ডলের খালি গলায় গাওয়া গান ‘এক পিয়ার কা নাগমা হে’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় তোলে। আর তাতেই তিনি রাতারাতি তারকা খ্যাতি পেয়ে যান। তার খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরতে থাকে ক্যামেরা। বিষয়টি নজর এড়িয়ে যায়নি ভারতীয় সঙ্গীতবিষয়ক পন্ডিতদের। এ খবর পেয়ে যান সঙ্গীত পরিচালক হিমেশ রেশমাইয়া। রানু মন্ডলে তিনি অভিভূত। তাই তার প্রথম গান তিনি রেকর্ড করলেন বৃহস্পতিবার।
রানু মন্ডলের সেই গান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে শেয়ার দিয়েছেন হিমেশ। সঙ্গে লিখেছেন, ‘তেরি মেরি কাহানি’ আমার নতুন গান রেকর্ড করলাম। অত্যন্ত মেধাবী রানু মন্ডলকে দিয়ে গাইয়েছি এই গান। রানুর আছে এক ঐশ্বরিক কণ্ঠ। যদি তার মতো এমন মানুষদের আমরা উৎসাহিত করতে পারি তাহলে আপনার, আমাদের সব স্বপ্ন সত্যি হবে। একটি ইতিবাচক মনোভাব আমাদের স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে পারে। ভালবাসা ও সমর্থন দেয়ার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।
রানু মন্ডলের গান প্রথম রেকর্ড করেন কমিউটারের এক যাত্রী। তিনি শুনতে পান তার কণ্ঠে যাদু আছে। তাই কমিউটারের ভিতর থেকে তার গান রেকর্ড করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেন। অমনি হিট রানু। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পরিচিতি পান। অসংখ্য মানুষ তার গানের ভক্ত হয়ে যান। তার সাক্ষাতকার নেয়া হয়। সেই সাক্ষাতকার ইউটিউবে ঝড় তুলেছে।
রানুকে প্রথম গান গাওয়ানো সম্পর্কে বার্তা সংস্থা আইএএনএস’কে হিমেশ বলেছেন, আমি রানুজির সঙ্গে সাক্ষাত করেছি। মনে হয়েছিল, তিনি ঐশ্বরিক আশীর্বাদপ্রাপ্ত। তার গান সম্মোহন জানে। তার জন্য সর্বোত্তম চেষ্টা করার প্রস্তাব দেয়া থেকে আমি আমাকে নিবৃত্ত করতে পারি নি। ঈশ্বরের আশীর্বাদ আছে তার ওপর। তার সেই উপহারকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা উচিত। তাই আমার পরবর্তী ছবি ‘হ্যাপি হার্ডি অ্যান্ড হীর’ ছবিতে তাকে দিয়ে গান গাইয়েছি। আমি আশা করবো, তার এই কণ্ঠ প্রতিটি মানুষের কানে পৌঁছে দিতে পারবো।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | ||||||
2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 |
9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 |
16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 | 22 |
23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 | 29 |
30 | 31 |