ঢাকা ০৩ জুন : ঢাকার আশেপাশে ঈদের যাত্রায় রাজধানী মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে সার্বক্ষণিক যান চলাচলের সহযোগিতায় নামবেন নয়শ’ তরুণ স্বেচ্ছাসেবক। যারা পুলিশের সঙ্গে সড়কে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করবেন।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) ও রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন থেকে এদের নিয়োগ করবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ঈদের পাঁচদিন আগ থেকে এ স্বেচ্ছাসেবকরা কয়েকটি শিফটে ভাগ হয়ে চন্দ্রা, ভুলতা, কোনাবাড়ি, আশুলিয়া, বাইপাইল, নবীনগর, কালিয়াকৈর, গড়াই, কাঁচপুর, মেঘনা, পাঁচদোনা, এলেঙ্গা, মিরের বাজার মোড়ে সার্বক্ষণিক লাঠি হাতে দায়িত্বে থাকবেন।
তাদের কাজ হবে, রাস্তার পাশে গাড়ি থামানো বন্ধ রাখা; কোনো গাড়ি যান্ত্রিক ত্রুটিতে রাস্তায় বন্ধ হয়ে পড়লে সেটাকে দ্রুত রাস্তা থেকে নামিয়ে দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা ইত্যাদি।
এ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহনমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, ঈদের আগে মহাসড়কে অতীতে যেসব ঘটনায় যানজট লেগে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিলো, এবার যেন সেসব ঘটনা না ঘটে, সেজন্য আগেই এ ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হচ্ছে।
সূত্রটি জানায়, নিয়োগপ্রাপ্ত তরুণ স্বেচ্ছাসেবকরা রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। সাধারণত ট্রাফিক পুলিশ রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে নির্দেশনা দিতে থাকলে প্রায়ই অন্যদিকে যানজট লেগে যায়। অনেক সময় সেই অবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এবার সে ধরনের জায়গায় স্বেচ্ছাসেবক তরুণদল ভূমিকা রাখবে।
এদিকে, ঈদে ঢাকার আশেপাশে ৩টি বিকল্প সড়কে যান চলাচলের নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। সড়কগুলো হচ্ছে- কালিয়াকৈর-দিয়াবাড়ি-সাটুরিয়া; কালামপুর-ধামরাই-আরিচা-ঘিওর এবং আরিচা-ঘিওর-নাগরপুর-টাঙ্গাইল।
শুক্রবার (৩ জুন) মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) পরিদর্শন বাংলো ‘পদ্মা-যমুনা’ উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানটিতেই মন্ত্রী ঈদ নিয়ে তার এ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।
এ সময় তিনি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলবাসীর যোগাযোগের অন্যতম সড়ক নবীনগর-পাটুরিয়া পর্যন্ত সড়ক দুই লেন থেকে চার লেনে উন্নীত করার কথা জানান। তিনি বলেন, সে প্রক্রিয়ায় আগামী সেপ্টেম্বর থেকে এর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু হবে।