আদালত ভাই-বোন পরিচয় দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় দুই আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে । বিচারকের আদেশে দুই আসামিই দুদিন করে পুলিশি রিমান্ডের মুখোমুখি হবেন। আসামিরা হলেন- হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর এলাকার আবদুর সালামের ছেলে মোহাম্মদ আজিজুর রহমান ও তার বোন একই এলাকার নজির আহমদের স্ত্রী লাকী (৩২)। আসামিরা পুলিশের কাছে এমন পরিচয় দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সিএমপি পুলিশের সহকারি কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ। গতকাল সোমবার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দীন মুরাদের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দীন আহমেদ জানান, জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় দুই আসামিকে দুই দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দীন মুরাদের আদালত। কোতোয়ালী থানা পু্িলশ আসামিদের আদালতে হাজির করে দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিল। আদালত শুনানি শেষে দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার ব্যাপারে কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে এসে আজিজুর রহমান তার বোন পরিচয় দিয়ে লাকীসহ জাতীয় পরিচয়পত্রের স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করতে আসেন। এ সময় সার্ভারে চেক করে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র ভুয়া বলে দেখেন সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তা। পরে তাদের দুইজনকে আটক করে পুলিশ।
জানা গেছে, এ ঘটনায় উভয়ের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হওয়ার পর পুলিশের পক্ষ থেকে তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চাওয়া হয় আদালতের কাছে। এ নিয়ে শুনানি শেষে আদালতের বিচারক তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক অফিসের নির্বাচন কর্মকর্তারা তাদের দুজনকে জিজ্ঞেস করলে তারা অসংলগ্ন তথ্য দেন। আসামিরা নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে নিজেদের তথ্য সংযুক্ত করেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কর্মকর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদের পর আরো তথ্য বেরিয়ে আসার অপেক্ষা করছে পুলিশ, এমনটাই জানালেন কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ।