স্বামীর লাশ দেখে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন স্ত্রী হালিমা বেগম (৫৬) টাঙ্গাইলের নাগরপুরে । মাত্র এক ঘণ্টার ব্যবধানে স্বামী-স্ত্রীর এমন মৃত্যুর ঘটনায় স্বজন ও প্রতিবেশিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শনিবার রাতে উপজেলার ভাড়রা গ্রামে মর্মস্পর্শী এ ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার ভাড়রা গ্রামের মো. আজমত মিয়া (৭০) শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় নিজ বাড়িতে বার্ধক্যজনিত রোগে মৃত্যুবরণ করেন। এ খবর পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সন্ত্রাসী হামলায় আহত মৃত আজমত মিয়ার একমাত্র ছেলে সুমন (২০) লাশ দেখতে বাড়িতে আসে। এ সময় মৃতের স্ত্রী হালিমা বেগম তার চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল যাচ্ছিলেন।
পথিমধ্যেই স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ পান তিনি। সেখান থেকেই বাড়িতে ফিরে আসেন। রাত আটটার দিকে বাড়িতে এসে স্বামীর লাশ আর আহত ছেলের অবস্থা দেখে হালিমা বেগম হার্ট অ্যাটাক করে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এ সময় স্বজনদের কান্না আর আহাজারিতে সেখানকার পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে। হৃদয় বিদারক এ দৃশ্যে উপস্থিত জনতাও চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি।
স্থানীয় সমাজসেবক আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম জানান, নিহত আজমত মিয়া এলাকার অত্যন্ত নিরীহ ব্যক্তি ছিলেন। একই দিনে এক ঘণ্টা ব্যবধানে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু একটি মর্মস্পর্শী ঘটনা।
নিহত হালিমার ভাই আবদুর রহিম মাস্টার জানান, একদিকে স্বামীর লাশ, অন্যদিকে স্থানীয় সন্ত্রাসী শাহীন, রিপন মিয়া ও আলাউদ্দিনের হামলায় আহত একমাত্র ছেলে সুমনকে দেখে মানসিক আঘাত পান। এ ঘটনায় তার হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যায়। ওই রাতেই সামাজিক কবরস্থানে স্বামী-স্ত্রীর লাশ দাফন করা হয়।
নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলম চাঁদ বলেন, ভাড়রা গ্রামে হৃদয় বিদারক স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুর খবর শুনে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিহতের ছেলে সুমনের ওপর হামলা ঘটনায় অভিযোগ পেলে দোষীদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।