কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ভন্ডপীরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ চট্টগ্রামে । মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার আরেফিন নগর এলাকার মুক্তিযোদ্ধা কলোনির পেছনে নিজ আস্তানায় ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে কথিত পীর শাহসুফি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন ওরফে নেজাম মামা (৪২)।
আজ সোমবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বায়েজিদ বোস্তামি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান খোন্দকার।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার কথিত পীর শাহসুফি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন ওরফে নেজাম মামার বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ফতেয়াবাদ এলাকায়। তার বাবার নাম সাহাবুদ্দিন চৌধুরী। রোববার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি জানান, নগরীর আরেফিন নগরে নেজাম মামার আস্তানা নামে একটি আস্তানা গড়ে তুলে কথিত পীর নেজাম মামা চিকিৎসার নামে ঝাড়ফুক ও তাবিজ-কবজের ব্যবসা করে আসছেন। এই পীরের আস্তানায় প্রতিদিন অনেক নারী-পুরুষ চিকিৎসার জন্য আসেন।
আস্তানার পাশে একটি ছোট দোকান আছে, যেখানে চা-কলা-বিস্কুট, মোমবাতি-আগরবাতি বিক্রি করা হয়। ওই দোকানির ১৬ বছর বয়সী এক মেয়ে আছে। ওই মেয়েকে নিজের কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে নেজাম।
ওসি আরও বলেন, গত জুলাই মাসের শেষের দিকে পীরের
আস্তানায় কুমিল্লা থেকে এক নারী তার প্রতিবন্ধী সন্তানকে নিয়ে আসেন। ওই
নারীকে আস্তানায় রেখে পীর তার ছেলেকে কথিত চিকিৎসা দিচ্ছিল। রাতে ওই নারী
আস্তানার কক্ষে একা থাকতে ভয় পাওয়ার কথা জানায় নেজামকে। নেজাম চা দোকানির
মেয়েকে ওই নারীর সঙ্গে রাখার ব্যবস্থা করে। এ সুযোগে রাতে নেজাম দোকানির ওই
মেয়েকে নিজের কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে।
ওসি জানান, ৫-৬ দিন ধরে
ধর্ষণের পর ওই মেয়ে বিষয়টি তার মাকে জানায়। রোববার মেয়েটির বাবা-মা থানায়
গিয়ে নেজামের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরে আস্তানায় অভিযান
চালিয়ে নেজামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কথিত এই ভন্ডপীরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি আতাউর রহমান খোন্দকার।
গ্রেপ্তার
নেজামের বিরুদ্ধে পাহাড়ে সরকারি জমি দখল করে মসজিদ-মাদরাসা গড়ে তোলার
অভিযোগও রয়েছে বলে জানান নগর পুলিশের বায়েজিদ বোস্তামি জোনের সহকারী
কমিশনার পরিত্রাণ তালুকদার।