পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারত অধিকৃত কাশ্মীর সঙ্কট নিয়ে বিশ্বনেতাদের নীরবতায় ফের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন । তার অভিযোগ, তাদের নিষ্কৃয়তার কারণেই বিশ্বে আরেকটি ‘সাব্রেনিকা টাইপ’ হত্যাযজ্ঞের প্রেক্ষাপট তৈরি হচ্ছে। তার আশঙ্কা, মোদি এর আগে গুজরাটের দাঙ্গা লাগিয়ে যেভাবে মুসলিমদের হত্যা করেছেন, তিনি কাশ্মীরেও সেটাই করবেন। আর এজন্যই রাষ্ট্রীয় সেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) ‘গুন্ডাদের’ সেখানে পাঠানো হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার ভারতের স্বাধীনতা দিবসকে ‘কালো দিবস’ ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। এই কালো দিবস উপলক্ষ্যে এক টুইট বার্তায় কাশ্মীরে মুসলিম নিধনের আশঙ্কা করে ইমরান খান বলেন, বিশ্ব কি চুপচাপ বসে কাশ্মীরে মুসলিম গণহত্যা দেখতে থাকবে?

অন্য এক টুইটে ইমরান খান ভারতের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ‘অধিকৃত কাশ্মীরে ১২ দিন ধরে কারফিউ বলবৎ রয়েছে। বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ইন্টারনেটসহ থেকে শুরু করে সকল ধরনের যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। আরএসএস গুন্ডাদের সেখানে পাঠানো হচ্ছে। মোদি এর আগে ভারতের গুজরাটে রাজ্যে মুসলিমদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন চালিয়েছেন।’

এর আগে বুধবার ইমরান বলেন, কাশ্মীরের সবচেয়ে কঠিন সময়ে পুরো পাকিস্তান তাদের কাশ্মীরি ভাইদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং পাকিস্তান তাদের পক্ষে নৈতিক, কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সমর্থন অব্যাহত রাখবে।

প্রসঙ্গত, ভারতের গুজরাটে রাজ্যে ২০০২ সালে ভয়াবহতম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় দুহাজারেরও বেশি লোক প্রাণ হারায়, যাদের বেশিরভাগই মুসলমান। এই দাঙ্গার জন্য ওই রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রচ্ছন্ন ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। জানা যায়, এ কারণে এই দাঙ্গার পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মোদিকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারতের সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ি। মোদি নিজে থেকে না সরলে গুজরাট সরকারকে বরখাস্ত করা হবে- এমনটাই ছিল তার পরিকল্পনা।

আর ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিকায় মুসলিম নিধন চালিয়ে আট হাজার ৩৭২ নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করে সার্ব নেতৃত্বাধীন যুগোস্লাভিয়ান সেনাবাহিনী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে এটাই সবচেয়ে ঘৃণ্য গণহত্যা। সার্ব বাহিনীর চার বছরব্যাপী অবরোধে সবমিলিয়ে ১১ হাজার ৫শ মানুষ নিহত হয়েছিল।

পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার টুইটে কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি বোঝাতে গিয়ে ওই দুই মুসলিম নিধনের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031